
Jalpaiguri News: স্ত্রীকে খুন করার পর ব্যাগে দেহাংশ নিয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়ালো স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের ব্যাঙকান্দিতে। মৃতা মহিলার নাম দিপালী রায়(৪৫)। ব্যাঙকান্দির বাসিন্দা রমেশ রায়কে শুক্রবার সকালে একটি থলিতে দেহাংশ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রমেশ রায় থলিতে দেহাংশ নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে বেশ কয়েকজনকে সেই দেহাংশ দেখায়। আর যা দেখে রীতিমত ভয় পেয়ে যায় অনেকেই। ঘটনায় সকলের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধে।
এরপর কয়েকজন মিলে তার বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতর বিছানায় রক্ত দেখতে পায়। এরপর গ্রামবাসীরা বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে জানায়। খবর চাউর হতেই ভিড় জমায় প্রচুর মানুষ। ঘটনাস্থলে আসে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। বাড়ি থেকেই রমেশ রায় স্ত্রী দিপালী রায়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, তাঁর স্বামী রমেশ রায় মানসিক ভারসাম্যহীন। রমেশ রায় কোথায় গেছে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
যদিও কিছুক্ষমের মধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত রমেশ রায়। শুক্রবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। খুনের ঘটনার তদন্তে পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানাবে।
অন্যদিকে, নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা। সাজা ঘোষণা জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতের। কারদণ্ডের পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের নির্দেশ। লিগ্যাল এইড সার্ভিস অথারিটির মাধ্যমে নির্যাতিতাকে পাঁচলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় বিচারকের ।
ঘটনাটি নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক ওই এলাকায় ভাড়া থাকতো। ঘটনার দিন ২০২২ সালের ১৬ই আগস্ট। ওইদিন ফাঁকা বাড়িতে মোবাইল দেখার নাম করে নাবালিকাকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। সেখানেই তাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কয়েকজন প্রতিবেশী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। ঘটনার জানার পর নাবালিকার মা নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। তিনবছর ধরে কাস্টাডি ট্রায়াল চলে। ১১জন সাক্ষী দেয়।
অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন পকসো আদালতের বিচারক। আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিষ দত্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি লিগ্যাল এইড সার্ভিস অথারিটির মাধ্যমে নির্যাতিতাকে পাঁচলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।