একদিকে চলছে অবস্থান। আর অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা এবার যাচ্ছেন জয়নগর।
একদিকে চলছে অবস্থান। আর অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা এবার যাচ্ছেন জয়নগর।
গোটা রাজ্যজুড়ে যেন এক দমবন্ধ করা পরিস্থিতি। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন অনেকদিন আগেই। এই মুহূর্তে তিনি একের পর এক পুজো উদ্বোধনে ব্যস্ত। কিন্তু ঠিক তার একটি উল্টো ছবি ধরা পড়ছে ধর্মতলায়।
যেখানে নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ৮.৩০ মিনিটে তারা ঘোষণা করে দেন, সরকারকে তারা ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা দেবেন। যদি তার মধ্যে ১০ দফা দাবি মানা না হয়, তাহলে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন।
যদিও পুলিশের তরফ থেকে তাদের সেই অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি, জুনিয়র ডাক্তারদের উপর আক্রমণ এবং ডেকরেটর্সের লোকেদেরও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এরপর শনিবার, রাত ৮.৩০ মিনিটের মধ্যেও সরকারের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর না মেলায় তারা অনশন শুরু করেন। সেইসঙ্গে, চলছে লাগাতার অবস্থান।
আরও পড়ুনঃ
কাটাপুকুর মর্গের বাইরে পুলিশকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ? মীনাক্ষী-দীপ্সিতার নামে মামলা রুজু পুলিশের!
আর রবিবার, সেই অনশন মঞ্চ থেকেই তারা ঘোষণা করে দিলেন জয়নগর যাওয়ার কথা। প্রথম দিন থেকেই জুনিয়র ডাক্তাররা বলে আসছেন, এই আন্দোলন সাধারণ মানুষেরও আন্দোলন। আর জয়নগরে একটি সাধারণ পরিবারের ছোট্ট ৯ বছরের শিশুর সঙ্গে যে পাশবিক ঘটনা ঘটেছে, তারপরই তাদের এই সিদ্ধান্ত। সেই শিশুটিকেও ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই কুলতলী গ্রাম রীতিমতো উত্তপ্ত। জনগণের তাড়া খেয়েছেন এলাকার তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়ক। পুলিশের উপরেও চড়াও হন গ্রামবাসীরা। আর এবার সেই জয়নগরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।
মাত্র ৯ বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগে শনিবার দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল জয়নগরের মহিষমারি এলাকা। রবিবার, সেখানেই যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল। কিঞ্জল নন্দ এবং দেবাশিস হালদার ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন রয়েছেন সেই দলে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।