
দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীদের অভিযোগ এই রাজ্য অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গ রাজ্য। কিন্তু কেন এমন অভিযোগ? বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি-সহ ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশ এই রাজ্যের রাজনৈতিক, জনসংখ্যা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করেছে। অনেকেই মনে করছেন অনুপ্রবেশকারীরা এই রাজ্যের রাজ্যের একটি শক্ত ভোটব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের অনুপ্রবেশকারীদের অধিকাংশই মুসলিম। কিন্তু কেন এই অভিযোগ আসুন খতিয়ে দেখি।
রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ থেকে কয়েক দশক ধরে অনিয়ন্ত্রিত অবৈধ অনুপ্রবেশের ফলে রাজ্যের রাজনৈতিক, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতির এক গভীর রূপান্তর ঘটেছে। এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের উচ্চস্তরের ক্ষেত্রে যে সামান্য ব্যববধান দেখা যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশি মুসলমানদের আগমন একটি শক্তিশালী নির্বাচন শক্তি তৈরি করেছে। রাজ্যের ভোটারদের মধ্যে এক মুসলিম ভোটার প্রায় ৩০ শতাংশ। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২.২৫ কোটি। যাদের কেন্দ্রবিন্দু ১০২ টি বিধানসভা কেন্দ্রে এবং ৭৪টিতে সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে।
কলকাতার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অভিক সেন এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলার মুসলিমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করে কারণ শাসক দল তাদের তোষণ করে এবং তারা জানে যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলমানদের ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনও বিকল্প নেই।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে যে বিজেপিই সবচেয়ে বড় হুমকি… তাই তারা বিজেপির ভোট কাটার জন্য কংগ্রেস প্রার্থীদের উৎসাহিত করেছে। উল্লেখ্য ১০৯ টি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ বুথের মধ্যে ১০৮টিতে বিজেপি প্রায় ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
এদিকে আমস্টারডামের আন্তর্জাতিক অভিবাসন ইনস্টিটিউটের সঞ্জীব গুপ্তের অনুমান, সিইআইসি ডেটা অনুসারে, বাংলার ৩.৩৪ কোটি বহির্গামী অভিবাসীর ৭৫-৮০ শতাংশ মুসলিম। যার মধ্যে অবৈধ অভাবাসীরাও আছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা তথ্য বারে বারে দাবি করছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাই কি এই রাজ্যের শক্ত ভোটব্যাঙ্ক?