ভোট গ্রহণ পর্ব মিটলেই জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট কালীঘাটে এসে পৌঁছেছে। সেখান থেকেই ফলাফল সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারনা তৈরি করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফা ভোট গ্রহণের পরই প্রকাশিক হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্ট। সেখানে বলা গোটা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেও গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সটি পোলের রিপোর্ট মানছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই খারিজ করে দিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট। তার থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ভরসা রেখেছে দলের জেলা রিপোর্টের ওপর। জেলা রিপোর্ট আশার পরই তৃণমূল কংগ্রেস রীতিমত চাঙ্গে হয়েছে। কারণ জেলার রিপোর্টেই স্পষ্ট ঘাসফুল শিবির রাজ্যে কটি আসন পাচ্ছে।
ভোট গ্রহণ পর্ব মিটলেই জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট কালীঘাটে এসে পৌঁছেছে। সেখান থেকেই ফলাফল সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারনা তৈরি করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলার রিপোর্টে বলা হয়েছে খুব খারাপ ফল হলেও এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন গতবারের তুলনায় বাড়বে। সূত্রের খবর রিপোর্টে বলা হয়েছে এই রাজ্যে তৃণমূল ৪৩টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ২৬টি আসন পাবে। যার অর্থ ২০১৯ সালের থেকেও বেশি আসন পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেসকে ৬টি আসনে কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হবেয ৬টি জেলাতেই হাড্ডাহাড্ডির লড়াই হবে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলি থেকে কমপক্ষে ৬টি আসন পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে ঘাসফুল শিবির।
২০১৯ সালে এই রাজ্য থেকে ২৩টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। এলাকা দখলের চেষ্টা শুরু হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই লোকসভা নির্বাচনের আগে ড্যামেজ কন্ট্রোলে উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায় সবকটি জেলাই চষে ফেলেছিলেন। পঞ্চায়েতে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে ভালই ফল করেছিল তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার রিপোর্ট বলছে, উত্তরবঙ্গে এবার কিছুটা হলেও ভাল ফল করতে। রাজবংশী ভোট কিছুটা হলেও ফিরে পাবে। অন্যদিকে জঙ্গলমহল একটা সময় যা তৃণমূলের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল, সেখানেও জমি ফিরে পাবে তারা। তাই লোকসভা নির্বাচনে ফল ভালই হবে। যদিও ইতিমধ্যেই দলের নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য দেব, কুণাল ঘোষ সকলেই বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস কিছুতেই ২৬টির কম আসন পাবে না। ভাল হবে তৃণমূলের ফলাফল।