
Nadia Death News: হেয়ারিং থেকে ফেরার পর আরও অসুস্থ বৃদ্ধ, দাবি পরিবারের। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকালে বাড়িতেই মৃত্যু বৃদ্ধের। নদীয়ার কল্যাণী বিধানসভার কাঁচরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চর যদুবাটি এলাকার ১৩০ নম্বর বুথের ঘটনা।
মৃতের নাম জহরলাল মাহাতো। বয়স ৭২ বছর। পরিবার জানিয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও অসুস্থ জহরলাল মাহাতোকে হেয়ারিং-এর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ২৭ ডিসেম্বর হেয়ারিং থেকে ফিরে এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সোমবার মৃত্যু হয় জহরলাল মাহাতোর।
পরিবারের দাবি, হেয়ারিং থেকে ফিরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কাউকে কিছু না বললেও চিন্তায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন জহরলাল মাহাতো। এসআইআরের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। একই দাবি তৃণমূলের বি এল এ ২-য়ের। তাঁর দাবি, এসআইআর আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে জহরলাল মাহাতোর।
অন্যদিকে, ১০২ বছরের বৃদ্ধাকে যেতে হবে শুনানিতে শুনেই আতঙ্কে নাওয়া খাওয়া ভুলে আতঙ্কে বৃদ্ধা।রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআর এর প্রথম পর্বের শুনানির কাজ।এস আই আর এর শেষ তারিখ ৩১শে ডিসেম্বর পর্যম্ত।এই শুনানির শুরুতেই দেখা গেল ১০২ বছরের বৃদ্ধাকে-ও আসতে হবে শুনানিতে।ঘাটাল ব্লকের ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খাসবাড় এলাকার বাসিন্দা গান্ধারী জানা।
বয়সের ভারে জীর্ণ ওই বৃদ্ধা শুধুমাত্র গ্রামের মধ্যেই বয়জ্যেষ্ঠ নন আশেপাশে বেশ কয়েকটি গ্রামের মধ্যে তিনি সবচেয়ে প্রবীণ ।বয়স ১০২ বছর।এতবছর ধরে তিনি ভোট দিয়ে আসছে কিন্তু এই এসআইআর এ নেই নাম।তাই শুনানিতে ডাকা হয়েছে, বাড়িতে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি বাড়ি থেকে কোথাও যাবেন না।তিনি বলেন এতদিন ভোট দিয়েছে কোনো সমস্যা হয়নি।
ভোটের সময় রাজনৈতিক দলের তরফে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে এবং তিনি ভোটও দিয়েছেন।আজ হঠাৎ নাম নেই শুনে তিনিও অবাক হয়েছেন।বলছেন যদি বাড়িতে এসে ব্যবস্থা হয় ভালো নাহলে তিনি নাম তুলতে যাবেন না।ওনার বড়ছেলে নবকুমার জানাও বলেন মা কে বাড়ি থেকে এতদূর নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা সমস্যা তাই বাড়িতে এসে শুনানির কাজ হলে হোক নাহলে নয়।বিএলও হীরা লাল সিংহ জানান ডাটা নো ফাউন্ড দেখানোর কারণে শুনানির নোটিশ দেওয়া হয়েছে।তবে তিনি বলেন উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন যাতে বাড়িতে এসে কাজ করা হয়।
আর এই ইস্যু তে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর বলেন নির্বাচন কমিশনের এমন অমানবিক সিদ্ধান্তের জেরে আতঙ্কে ভুগছেন বহু মানুষ বাংলার মানুষের প্রতি বঞ্চনার এক অন্যতম নিদর্শন। অন্যদিকে বিজেপির বিধায়ক শীতল কপাট বলেন দেশের স্বার্থে ইলেকশন কমিশনের সাথে সহযোগিতা সকলকেই করা উচিত। হিয়ারিং এ ডাকলে প্রত্যেকেরই উচিত সেখানে উপস্থিত হওয়া তবে নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী প্রশাসনের বিশেষ টিম বয়স্কদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় স্থানীয় প্রশাসন সেই সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না যার ফলে দুর্দশা শিকার হতে হচ্ছে প্রবীণ বদ্ধ বৃদ্ধাদের।
হিয়ারিংয়ে ডাক পাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও অতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে যেখানে নির্দিষ্ট আবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসনের বিশেষ টিম পৌঁছে যাবেন এলাকায় এবং সেখানেই বিশেষ ক্যাম্পের মাধ্যমে হবে হিয়ারিং এর কাজ। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এই সংক্রান্ত ব্যাপক প্রচার না থাকার কারণে আতঙ্কে ভুগছেন একাধিক বয়স্ক মানুষজন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।