বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা ব্যাঙ্ক কর্মীর, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ

Published : Aug 21, 2025, 02:08 PM IST
dead body

সংক্ষিপ্ত

হুগলীতে ব্যাঙ্ক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উত্তেজনা। কী করে ঘটল এই ঘটনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Hooghly News: চন্দননগরে স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু! বহুতল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা বলে সন্দেহ পুলিশের। মৃতের নাম সৌমেন দে(৩৯)। দেহ উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া খাদিনামোর এসবিআই ব্রাঞ্চের করনিক ছিলেন সৌমেন দে। থাকতেন চন্দননগর রথের সড়কের একটি অভিজাত বহুতলে। তার পৈতৃক বাড়ি চন্দননগর বৈদ্যপোতায়।

প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার বছর দুয়েক পর দ্বিতীয় বিবাহ করেন সৌমেন। তারপর বহুতলে ফ্ল্যাট কেনেন।সেখানেই স্বামী স্ত্রী দুজনে থাকতেন।  আজ সকালে তার স্ত্রী বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে বেরিয়ে যান কলকাতায়। যাওয়ার আগে টিফিন করে যান দুজনে এক সঙ্গে। স্ত্রী বেরিয়ে যেতেই আটতলা ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ মারেন সৌমেন। শব্দ পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা। চন্দননগর পুরো নিগমের সিপিআইএম কাউন্সিলর অশোক গাঙ্গুলী ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আবাসন থেকে একজন ঝাঁপ দিয়েছে শুনে আমি আসি। উনি একজন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মচারী ছিলেন। ফ্ল্যাটে তখন একাই ছিলেন। ফ্ল্যাটের উত্তর দিকের লবি থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে জানা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

ব্যাঙ্ক কর্মীর মাসতুতো দাদা শোভন শীল বলেন, ‘’মাসি ফোন করে জানায় ভাই এর দুর্ঘটনা হয়েছে। কি করে হল, কেন হল জানিনা। রথের সড়কের আবাসনে ভাই আর তার স্ত্রী থাকত। আজকে অফিসে যাওয়ার আগে এটা হয়েছে।আমি শুনেছি দূর্ঘটনা হয়েছে হাসপাতালে এসে শুনি পরে গেছে। পারিবারিক কোনও সমস্যা মানসিক অবসাদ ছিলো কিনা তা বলতে পারেননি শোভন বাবু। পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।'' 

অন্যদিকে, সোনার দোকানে ডাকাতির আগে রেইকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। অপরেশান করার আগেই পুলিশের জালে চার দুষ্কৃতী। উদ্ধার নকল বন্ধুক,গ্যাস কাটার। চন্দননগর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে চন্দননগর পুর নিগমের নয় নম্বর ওয়ার্ডের ভাগার ধারে জরো হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী।

সেখান থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।ধৃতদের মধ্যে আমতার দীপঙ্কর বোসের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।সে ভাগার ধারে বাড়ি ভারা নিয়েছিল মাস তিনেক।সেই বাড়িতে আরো দুজন ছিল।দীপঙ্কর বিশ্বাস ও নাসির গাজি।তাদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ। দুদিন আগে আসে তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তাপস বিশ্বাসের নাম।তার বাড়ি সিঙ্গুর ন'পাড়া। তাপস এদের এক জায়গায় নিয়ে আসে।

উদ্যেশ্য ছিল সোনার দোকানে ডাকাতি করা। চন্দননগরের একাধিক সোনার দোকান এবং মূল্যবান সামগ্রীর দোকানে রেইকি করে দুষ্কৃতিরা। তল্লাসী চালিয়ে ধৃতদের থেকে তালা ভাঙার যন্ত্র,নকল এয়ার গান,গ্যাস কাটার উদ্ধার করে পুলিশ। আজ চন্দননগর আদালতে পেশ করা হবে পুলিশ হেফাজত চেয়ে। এই দলে আরো কেউ যুক্ত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?