
মালদার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকারকে খুনের কথা স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের একই এন নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তেমনই দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রেফতারের পরে দীর্ঘ সময় জেরা হয়েছে এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। তাতেই ভেঙে পড়েন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। খুনের কথা স্বীকার করেন ইংরেজবাজার শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাাপতি। অন্যদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে দুলাল সরকারকে খুনের জন্য ৫০ হাজার টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল।
দুলাল খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই শার্প শ্যুটার-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও অধরা দুই অভিযুক্ত কৃষ্ণ ওরফে রোহন রজক ও বাবলু যাদব। তাদের খোঁজ চলছে। যদিও এই ঘটনার সীত দিন পরেও খুনের মোটিভ স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে।
মালদার তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতী। তঁকে ২১ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা করা হয়। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে। দুলাল সরকার ইংরেজ বাজার পুরসঙার বর্তমান কাউন্সিলর। সেই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর হলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি।
পুলিশের অনুমান দুলাল সরকার খুনে আরও বেশ কয়েকটি মাথা রয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব না টাকা পয়সা - কী কারণে দুলাল সরকারকে খুন করা হয়েছে তা ওখনও স্পষ্ট নয়। তবে ২০২২ সালে পুরসভা ভোটে ইংরেজবাজার পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হন নরেন্দ্রনাথে স্ত্রী অঞ্জু তিওয়ারি। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে অঞ্জুকে ভোটে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দুলালের বিরুদ্ধে । এখানেই শেষ নয়, দুলাল বিরুদ্ধে তারপরই নরেন্দ্রনাথ ও তাঁর ভাইদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। সেই পুরনো শত্রুতার জেরেই কী এই খুন- তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।