৭১ সাল থেকে ভারতের বাসিন্দা বাবার নাম নেই ভোটার লিস্টে, নাম রয়েছে ছেলের

Published : Nov 09, 2025, 04:02 PM IST
Nirmal Biswas name is not on  voter list despite  resident of India since 1971

সংক্ষিপ্ত

৭১ সালের পর ওপার বাংলা থেকে ভারতে এসেও ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেননি বৃদ্ধ। বহুবার সরকারি দপ্তরে আবেদন করেও নাম ওঠেনি তাদের অথচ তার সন্তানদের নাম উঠেছে ভোটার তালিকায়। 

সেই ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় অনেক বাঙালির মতই বাংলাদেশ ছেড়ে এই দেশে চলেছে এসেছিলেন নির্মল বিশ্বাস। সেই থেকে বাস ভারতে। মালদার মুছিয়া অঞ্চলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস করেন নির্মল বিশ্বাস। কিন্তু একাধিকবার চেষ্টা করেও এখনও পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম তোলাতে পারেনি তিনি। বঙ্গে শুরু হয়ে গেছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন। এই অবস্থায় রীতিমত আশঙ্কায় দিন কাটছে নির্মল বিশ্বাসের। আশঙ্কা বাড়ছে নির্মলের পরিবারের সদস্যদেরও

বাবা নেই, ছেলে আছে!

৭১ সালের পর ওপার বাংলা থেকে ভারতে এসেও ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেননি বৃদ্ধ। বহুবার সরকারি দপ্তরে আবেদন করেও নাম ওঠেনি তাদের অথচ তার সন্তানদের নাম উঠেছে ভোটার তালিকায়। এসআইআর শুরু হওয়ায় এবার রীতিমত সমস্যায় পড়েছে বৃদ্ধের পরিবার। নিয়ম অনুযায়ী ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ভারতীয়দের নাম থাকতে হবে। কিন্তু নির্মল বিশ্বাসের নাম ২০০২ এ না থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বৃদ্ধের পরিবার। মালদা বিধানসভায় মুচিয়া অঞ্চলের ২০৪ নম্বর বুথ ডাঙা খানপুর, এলাকার বাসিন্দা নির্মল কুমার বিশ্বাস।

৭১ সালের পর বাংলাদেশের পাবনা জেলা থেকে ভারতে এসে ছিলেন। সেই থেকেই মালদার মুচিয়া অঞ্চলের ডাঙা খানপুর এলাকার বসবাস করেন। ভোটার লিস্টে এখনও নাম উঠেনি। যদিও ছেলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম উঠেছে সে ক্ষেত্রে এস আই আর চালু হাওয়ায় রীতিমতো চিন্তার মধ্যে পড়েছে। এবার, ২০২৫ যাতে নাম উঠে, সেই জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন তিনি।

মালদা বিধানসভার মুচিয়া অঞ্চলের ডাঙা খানপুর, মোহনবাগান ,ডোবা খানপুর, নিয়ে একটি মাত্র বুথ এখানে বাংলাদেশ থেকে বহু পরিবার বসবাস করেন। এদের মধ্যে অনেকেরই ২০০২ এর ভোটার লিস্টের নাম নেই যার ফলে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সেই সমস্ত পরিবার।

 

২০৪ নম্বর বুথের বিএলও বিপ্লব বিশ্বাস জানান ইতিমধ্যেই এই এলাকায় ৭১% ম্যাপিং এর কাজ হয়েছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগুয়া এই বুথ। এখানে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বসবাস করে করছেন। অনেকের নাম রয়েছে অনেকের নাম এখনো নেই। এমনকি ২০০২ এর লিস্ট কেউ নেই।

২০০২ সালে এলাকায় ভোটার সংখ্যা প্রায় এক হাজার । ২০২৫-এ সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮০। ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট বেড়েছেl এলাকায় বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে সাত থেকে আটটা পরিবারের ২০০২ সালের নাম নেই। অনেকের ছেলের নাম আছে বাবার নাম নেই। তিনি বলেন, ' আমরা ইতিমধ্যেই ফর্ম দিয়েছি। ফর্ম জমা নেব। দপ্তরে জমা দেব। তাদের নাম উঠবে কিনা সে বিষয়ে দপ্তর ভালো বুঝবে।'

নাম নিয়ে তুলকালাম

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর

মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা জানান বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে এসেছিলেন যারা আজকে ভারতে বাস করছেন তাদের কোনরকম নাম বাদ যাবে না। সি এ এ আবেদন করবেন তার মাধ্যমে তাদের নাম উঠে যাবে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পাশে আছে। তৃণমূল এএসআইআর নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান যারা বাংলায় বসবাস করছেন তাদের নাম একজন ওর ভোটার লিস্ট থেকে বাদ যাবে না। কোনরকম বৈধ ভোটার এর যদি নাম ভোটার লিস্ট থেকে কাটা যায় তাহলে আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামবো।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

চাপের মুখে বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের, দেখুন কী বলছেন
এসআইআর আবহে বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার হিড়িক! মালদহ মেডিক্যালে চাঞ্চল্য