পটাশপুরে মৃতার দেহের ময়নাতদন্তে একেবারেই খুশি নয় পরিবার। রবিবার, ময়নাতদন্তের পর দেহ নিতে অস্বীকার করলেন মৃতার ছেলে সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
পটাশপুরে মৃতার দেহের ময়নাতদন্তে একেবারেই খুশি নয় পরিবার। রবিবার, ময়নাতদন্তের পর দেহ নিতে অস্বীকার করলেন মৃতার ছেলে সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
সোমবার, এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা। এদিন তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের মর্গে পটাশপুরের মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পটাশপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক নিজেও।
এছাড়াও মহিলার ছেলে এবং অন্যান্য পরিজনরাও উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। কিন্তু মৃতার পরিবার এই রিপোর্টে একেবারেই খুশি নয়।
পরিবারের দাবি, দরকার পড়লে আদালতের হস্তক্ষেপে তমলুকের বাইরে অন্য কোনও বড় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করতে হবে। মৃতার ছেলের কথায়, “ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বিষক্রিয়ার জেরেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন কিংবা ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। আর এরপরেই পুলিশ মৃতদেহটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের জানায়। কিন্তু আমরা দেহ নিতে অস্বীকার করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আমরা মোটেই খুশি নই। তাই দেহ না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি। নতুন করে ময়নাতদন্তের দাবি নিয়ে সোমবার আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আদালত যা রায় দেবে, সেই মতোই কাজ হবে।”
মৃতার পরিজনরা বলছেন, সেই মহিলার উপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁর বুকে এবং পেটে আঘাত করা হয়েছে। যে সময় তাঁর দেহটি উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর শরীরে পোশাকের চিহ্নমাত্র ছিল না। অথচ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, বিষক্রিয়ায় স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
এমনকি, শরীরেও কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলে জানানো হয়েছে। আর এরপরেই নতুন করে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।