
Matua On Congress: মতুয়া সমাজের প্রতিনিধিদের রাহুল গান্ধীর যাত্রায় যোগদানের আরজি। আর এই দাবি জানিয়ে এবার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মতুয়া সমাজের একাংশের। জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষার নামে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। প্রতিবাদে শুরু করেছেন 'ভোটার অধিকার যাত্রা'। এবার রাহুলের এই যাত্রায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করল মতুয়া সমাজের একাংশ মানুষজন।
সূত্রের খবর, তৃণমূল ও বিজেপির টানাপোড়েনের রাজনীতিতে নিজেদের বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিতিবিরক্ত মতুয়া সমাজ। এবার অন্য পথের সন্ধান করছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সামাজিক ন্যায়ের লড়াই এবং পিছিয়ে পড়া ও বঞ্চিত সমাজের দাবি নিয়ে তাঁর আপসহীন সংগ্রাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, কংগ্রেসে আসার আলো দেখতে শুরু করেছেন মতুয়া সমাজ। মঙ্গলবার মতুয়া সমাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী প্রতিনিধিরা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীররঞ্জন চৌধুরী সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এবং তার মারফত রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করে সময় চেয়েছেন। তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বিহারে চলমান রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর মাধ্যমে এই বার্তা ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীর কাছে পৌঁছেছে। অধীর চৌধুরী এই বিষয়ে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের দাবি, গেরুয়া শিবির আর ঘাসফুলের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে দিনের পর দিন ব্যবহৃত হয়ে আসছেন মতুয়া সমাজ। ভোটের আগে তৃণমূল-বিজেপির তাঁদের নিয়ে টানাটানির বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না তারা। আর এই বিষয়ে এবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করা ও 'ভোটার অধিকার যাত্রা'য় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মতুয়া সমাজের একাংশ। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এখন দেখার বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মতুয়া সমাজের এই ইচ্ছাপ্রকাশ কংগ্রেসের পালে কতটা হাওয়া যোগায়!
অন্যদিকে, বিহারের পর এবার বাংলায় হতে পারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা দেশে। যা নিয়ে বঙ্গবাসীর মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার বর্ধমানের জনসভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেন। তিনি জনসভা থেকেই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, 'বিজেপির ললিপপ হয়ে যাবেন না।'
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ''ভোট আসতেই এনআরসি -র প্রসঙ্গ তোলে বিজেপি। ভোট আসতেই এনআরসি। ভোটের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা।' তারপরই তিনি বলেন,'ইলেকশন কমিশনকে অনেক প্রমাণ জানাই। সেলাম জানাই। দয়া করে বিজেপির ললিপপ হবেন না। তাহলে দেশের মানুষ ক্ষমা করবে না।'
তারপরই তিনি নিশানা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। তিনি বলেন, ''ভোটের আগেআসবে. বলবে এখানে নাকি সব বাংলাদেশি হয়ে গিয়েছে।' তিনি এদিন দেশভাগের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, 'বাংলাদেশের ভাষা আর আমাদের ভাষা এক হলে আমরা কী করব? দেশভাগ তো আর আমরা করিনি। বাংলাকে ওরা সাহ্য করতে পারে না। ' তিনি বলেন, 'বাংলা আমরা বলবই। বাংলার ইতিহাস ভুলে যাবেন না।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।