কোথাও মিলেছে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের হাতাহাতির খবর। তেমনই কোচবিহার থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৩০ জন।
বিজেপির ডাকা হাংলা বনধের ডাকে বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার খবর মিলেছে। কোথাও ট্রেন বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা। তো কোথাও বাস ভাঙচুর হয়। তেমনই কোথাও মিলেছে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের হাতাহাতির খবর। তেমনই কোচবিহার থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৩০ জন।
বনধের দিন সকাল থেকে উত্তপ্ত কোচবিহার। বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মেলিছে সেখানে। সকাল দশটা পর্যন্ত বনধের দিন ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আছে দুজন বিজেপি বিধায়ক। তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় এবং কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে।
বিজেপির বনধ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার সরকারি বাসকে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। মাথাভাঙা থেকে কোচবিহার রুটে আসছিল বাসটি।
এরই পাশাপাশি মানকুণ্ডু স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। সেখানে আটকানো হয় আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন। এরপর তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাঁধে। কাঁদানো গ্যাস ছোঁড়া হয়। তেমনই ঘাটালে হয়েছে বিজেপি ও পুলিশের সংঘর্ষ।
তেমনই ভাটপাড়ায় চলেছে গুলি। সাত রাউন্ড গুলি চলেছে সেখানে। ঘটনায় আহত হয়েছে একজন। প্রথমে তাকে ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতা ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।
আরজি কর হাসপাতালে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয় এক মহিলা চিকিৎসককে। ঘটনার প্রতিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এখনও দোষীদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। চলছে সিবিআই তদন্ত। তদন্তের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সে কারণে গতকাল নবান্ন অভিযানের আহ্বান করেছিল ছাত্র সমাজ। তারপর আজ বাংলা বনধ ডাকে বিজেপি। এই বনধ ঘিরে চলছে উত্তেজনা।