এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ। এদিন মামলা ওঠে অমৃতা সিনহার বেঞ্চে
ভোট মিটে যেতেই বিপাকে পড়তে পারেন বিজেপি নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ভোটের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বিজেপি নেতা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিন অবশ্য আর স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত এদিন জানিয়েছে, হিরণের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে পুলিশ। কিন্তু এখনই হিরণকে গ্রেফতার করা যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়কে।
গত ১৮ মে ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রসের ব্লক প্রেসিডেন্ট দিলীপ মাজি হিরণের বিরুদ্ধে ঘাটাল থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন। হিরণের সঙ্গে আরও কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মীর নাম রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল- দলীয় প্রার্থী তথা অভিনেতা দেব-এর একটি ভুয়ো অডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া । ভোটের আগে দেবের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই পদক্ষেপ বিজেপি প্রার্থী হিরণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছে। ওই অডিওতে কিছু স্পর্শকাতর বিষয় ছিল বলেও পুলিশের কাছে দরবার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই অডিওতে দেবের কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে বলেও করা হয়েছে। পাশাপাশি দেবের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী, খুনি এজাতীয় শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে।
এই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ। এদিন মামলা ওঠে অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ এফআইআর-এর ওপর স্থগিতাদেশ নির্দেশ জারি করেছে। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে বা হিরণের বিরুদ্ধে।
এবার লোকসভা ভোটে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিপক্ষ দেব। দেবের কাছে ১ লক্ষ ৮২ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন হিরণ। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট হিরণের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়।