সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে প্রসাদ তৈরি, দিঘার প্রসাদি খোয়া ক্ষীর নিয়ে ব্যস্ত চুঁচুড়ার মিষ্টির দোকানের কর্মীরা

Published : Jun 20, 2025, 05:28 PM IST
prasad of Jagannath in Digha Khoa Kheer has reached the sweet shop in Chunchura bsm

সংক্ষিপ্ত

মিষ্টির দোকান থেকে গজা প্যাঁড়া চলে যাবে চুঁচুড়া পুরসভার হলে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রসাদ বাক্সে ভরবেন। তারপর সেই প্রসাদ চলে যাবে রেশন দোকান গুলোতে। 

সিসি টিভির কড়া নজরদারির মধ্যে চলছে প্রসাদ তৈরির কাজ। দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিলি নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। চুঁচুড়ার চকবাজারের একটি মিষ্টির দোকান প্রসাদ তৈরির বরাত পেয়েছে। দোকানের ১২ জন কারিগর দিন রাত এক করে কাজ করছেন। দিঘার মন্দির থেকে পুজোর মহাপ্রসাদ খোয়া ক্ষীর এসে পৌঁছেছে হুগলি জেলা সদর চুঁচুড়ায়। স্নান সেরে কারিগররা প্রসাদ তৈরির কাজ করছেন। খোয়া ক্ষীর মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে গজা প্য়াঁড়া।

মিষ্টির দোকান থেকে গজা প্যাঁড়া চলে যাবে চুঁচুড়া পুরসভার হলে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রসাদ বাক্সে ভরবেন। তারপর সেই প্রসাদ চলে যাবে রেশন দোকান গুলোতে। সেখান থেকে সাধারন মানুষ সেই প্রসাদ পাবেন। মিষ্টির দোকানি প্রসাদের জন্য কুড়ি টাকা করে পাবেন। মোট প্রায় ২৬ হাজার প্যাকেট প্রসাদ তৈরি হবে আপাতত।

হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন,দিঘা জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন জগন্নাথের প্রসাদ সব বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেইমতো কাজ হচ্ছে।বেশ কয়েকবার মিটিং হয়েছে। দিঘার প্রসাদ ক্ষীর এসে পৌঁছনোর পর বরাত পাওয়া মিষ্টির দোকানে প্রসাদ তৈরি হচ্ছে। পুরসভায় হলে সিসিটিভি নজরদারিতে প্রসাদ প্যাকেজিং হবে।সেখান থেকে রেশন দোকানে মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিল করা হবে। ২৭ জুন রথের আগে এই প্রসাদ বিল শেষ করা হবে। আবার উল্টো রথের আগে দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে পরে আরও তৈরি করা হবে। চেয়ারম্যান বলেন, রথের ওপর থেকে প্রসাদ ছুঁড়ে মারা হয়,মানুষ মাটি থেকে কুড়িয়ে সেই প্রসাদ গ্রহণ করেন এটা ভক্তি আর বিশ্বাসের ব্যাপার।জগন্নাথের রথযাত্রার মধ্যে দিয়ে মানুষের যাত্রা শুভ হয় বলে বিশ্বাস। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী এটা পাঠিয়েছেন।

 

মিষ্টি ব্যবসায়ী রতন মন্ডল জানান,গজা প্যাঁড়া একসঙ্গে অনেক তৈরি করে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই তৈরি করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বিলি করে দিতে হবে।দোকানের কারিগররা ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করে তাই কাজ করছে।মিষ্টির ব্যবসা অনেক দিনের কিন্তু এই ধরনের এত বড় বরাত আগে পাননি।জগন্নাথের প্রসাদ তৈরী করতে পেরে ভালো লাগছে। দোকানের কর্মী প্রণব ঘোষ বলেন,নিজেদের খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ তৈরী করতে পারছি।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

BJP News: মুর্শিদাবাদে বদলাচ্ছে রাজনীতির সমীকরণ! বড়ঞায় বিজেপিতে যোগ দিল শতাধিক নেতৃত্ব
জুতো পায়ে আম্বেদকরকে শ্রদ্ধা নিবেদন! ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্কে তৃণমূল নেতা