ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যে উপনির্বাচনের ভোটগণনা হচ্ছে বৃহস্পতিবার। রাজ্য রাজনীতিতে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল তাৎপর্যপূর্ণ।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভোট গণনা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। যত গণনা এগোচ্ছে ততই বায়রনের ব্যবধান বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি ৮ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে। এই ফলে উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বিরোধী শিবির। কংগ্রেস কর্মীরা আবির খেলা শুরু করে দিয়েছেন। সাগরদিঘিতে অকাল দোল দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেস কর্মীরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ছবিতে আবির মাখাতে শুরু করে দেন। বেলা গড়াতেই ভোট গণনাকেন্দ্রে হাজির হন অধীর। তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়, তার জন্য আমরা হাইকোর্টে যাব। গতবারের পঞ্চায়েত ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হারবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুসলমানদের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে এর প্রভাব পড়েছে। পঞ্চায়েতে প্রহসন না হলে আমরাই জিতব।'
অধীর আরও বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় নীল রংকে নিজের পেটেন্ট করা বলে মনে করেন। আজ কিন্তু কোথাও নীল রং দেখা যাচ্ছে না। আমাদের কাছে সব রং পাবেন। কারণ, আমরা কালারফুল রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মতো স্বৈরাচারী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না আমরা। আমরা সকলকে নিয়ে চলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তাই আমাদের সবকিছু কালারফুল। রং-বেরং সব মিশিয়ে। কংগ্রেসের ভাবনা হচ্ছে বিবিধতার মধ্যে ঐক্য স্থাপন করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বধিবে যে, মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। ২০১৬ সাল থেকেই বামেদের সঙ্গে আমাদের জোট। বামেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা ভোট করেছি। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে এটাই চালু থাকবে। ২০১৬ সালে আমি যে কথা বলেছি, ২০২৩-এ এসেও একই কথা বলছি। আমি আমার কথা থেকে সরে আসিনি। তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে হলে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই জয় ট্রিগার। সারা বাংলা জুড়ে কাজ করবে এই ট্রিগার। তৃণমূলকে হারাতে হলে বিরোধীদের জোট করতে হবে।'
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেছেন, 'আজ আমি খুব খুশি। কেন খুশি হব না? কর্মীদের আনন্দ দেখে আমার বুক ভরে যাচ্ছে। আমার যাওয়ার কথা অনেক দূরে। কিন্তু আমি এখানে না এসে থাকতে পারলাম না। কর্মীদের উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস দেখে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। আমি এখানে না এসে থাকতে পারছিলাম না।'
আরও পড়ুন-
অবশেষে কি বিধানসভায় পা রাখবেন কোনও কংগ্রেস বিধায়ক? উপনির্বাচনে আশার আলো দেখছে বাম-কংগ্রেস
'কোচবিহারে ঝান্ডা ও ডান্ডা ছাড়া রাজনীতি হয় না' তুফানগঞ্জে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার