দলের যুব নেতাকে খুন করে গোটা পরিবারকে ফাঁসিয়ে ছিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান! কে এই শঙ্কর আঢ্য

Published : Jan 08, 2024, 10:42 AM IST
Shankar Adhya

সংক্ষিপ্ত

শঙ্করের পরিবার আগে কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের আগে ২০১০ সালে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন শঙ্করের আত্মীয়া জ্যোত্‍স্না আঢ্য।

উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে শুক্রবার তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেদিনই মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তবে গত দুদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে শঙ্কর আঢ্যকে ঘিরে। আপাতত ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এবার তৃণমূলের কাউন্সিলর তথা যুবনেতাকে খুনের অভিযোগ উঠল এই শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন এই পুর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঘিরে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

জানা গিয়েছে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে খুন হয়েছিলেন বনগাঁ পুরসভা এলাকার কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের যুব নেতা হিমাংশু বৈরাগী। এই ঘটনার নেপথ্যেও তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি হিমাংশুর বাবা-মায়ের। তাঁরা জানিয়েছেন, শঙ্করের পরিবার আগে কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের আগে ২০১০ সালে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন শঙ্করের আত্মীয়া জ্যোত্‍স্না আঢ্য।

কিন্তু এরপরে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সেই সময় হিমাংশু ছিলেন ওই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর। তিনি সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর মিলে অনাস্থা প্রস্তাব এনে পুরসভার চেয়ারম্যান বোর্ড ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। সেই আক্রোশেই শঙ্করের নেতৃত্বে বেশ কিছু দুষ্কৃতী খুন করে হিমাংশুকে, এমনটাই অভিযোগ তার পরিবারের।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ছেলের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকলেও গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ দাপুটে তৃণমূল নেতা শঙ্করের নামে অভিযোগটুকুও দায়ের করতে পারেননি তাঁরা!

হিমাংশুর বাবা রাকেশ বৈরাগীর অভিযোগ, ছেলের খুনের মামলায় কোথাও অভিযুক্ত হিসেবে শঙ্করের নাম পাওয়া যাবে না। কারণ, সেই সময় 'প্রভাবশালী' শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের লোকজন ক্রমাগত তাঁদের চাপ এবং হুমকি দিতে থাকে যাতে শঙ্করের নামে অভিযোগই দায়ের না করা হয়।

এমনকী, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় পুরো বৈরাগী পরিবারকে। রাকেশের ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা পর্যন্ত সেই ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পাননি, নাতিকে হারিয়ে উল্টে জেল খাটতে হয় তাঁকেই। জেলে ছিলেন রাকেশও। পরে জামিনে ছাড়া পেলেও শঙ্করের নামে আর এফআইআর দায়ের করা হয়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নতুন নিয়ম, পড়ুয়াদের প্রশ্ন পড়তে অতিরিক্ত ১০ মিনিট
বৃহস্পতিবারই শেষ এসআইআর ফর্ম ফিলাপের সময়সীমা, রাজ্যে ভুয়ো ভোটার কত?