দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ঝগড়া করে বিপাকে বাবুল-অভিজিৎ, পুলিশে অভিযোগ দায়ের সমাজকর্মীর

Published : Jan 04, 2025, 05:53 PM IST
Social activist files complaint against Babul Supriyo and Abhijit Gangopadhyay bsm

সংক্ষিপ্ত

সমাজকর্মী প্রতাপ বসু বলেন, সাধারণ মানুষ এই ধরনের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ব্যবস্থা নিত। কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ওয়ায় ওই দুই জনকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। 

রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুই জনপ্রতিনিধির ঝগড়া। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তাই শেষপর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের 'সবক শেখাতে' উদ্যোগী হলেন এক সমাজকর্মী। তিনি বাবুল সুপ্রিয় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার মন্ত্রী ও সাংসদের বিরুদ্ধে ইমেইল ও স্পিড পোস্টের মাধ্যনে কলকাতা পুলিশ ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেন সমাজকর্মী প্রতাপ বসু। দুটি থানাকেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছে।

সমাজকর্মী প্রতাপ বসু বলেন, সাধারণ মানুষ এই ধরনের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ব্যবস্থা নিত। কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ওয়ায় ওই দুই জনকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। আইনের চোখে সবাই সমান। তিনি পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলেননি। তিনি বলেছেন, পুলিশ দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন। রাস্তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে পড়ে তারা কথাকাটি করেন। যাতে যানজয় হয়ে যায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হেস্টিংস থানা ও বিদ্যাসাগর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যায়। দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের হস্তক্ষেপের পর দুজনেই নিজের গন্তব্যে চলে যায়। কিন্তু এই ঘটনা মানতে নারাজ সমাজকর্মী প্রতাপ বসু। তাঁর অভিযোগ এজাতীয় ঘটনা যদি সাধারণ মানুষ করত তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হত। কিন্তু দুজনেই প্রভাবশালী বলেই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনার সূত্রপাত গাড়ির গতি নিয়ে। তখন সকাল ৯টা। তীব্র গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে হুগলি সেতুর ওপর দিয়ে চলেছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় তিনিও হুগলি সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিজিতের গাড়ি এতটাই জোরে যাচ্ছিল যাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনই অভিযোগ করে অভিজিতের গাড়ির গতি নিয়ে আপত্তি জানান তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। অনেকে আবার জানিয়েছেন, অভিজিতের গাড়ি বাবুলের গাড়িকে ওভারটেক করতে চেয়েছিল। আর সেই জন্য একপাশে চেয়ে দিয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি। যদিও প্রথমে বাবুল বুঝতে পারেনি তীব্র জোরে যাওয়া গাড়িতে অভিজিতের। কিন্তু নীল বাতি লাগান গাড়িটিতে তিনি রাস্তাতেই থামতে বাধ্য করেন। । নীলবাতি লাগানো সেই গাড়ি থামিয়ে চালককে প্রশ্ন করার সময়ই বাবুল দেখেন, পিছনের আসনে বসে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ‌্যায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ