সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বেলা এম ত্রিবেদী ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠেছিল। সেখানেই খারিজ হয়ে যায় গৌতম পালের রক্ষাকবচ।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের সভাপতি গৌতম পালকে রক্ষাকবচ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে যেকোনও সময়ই জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। সঙ্গে জেরা করতে পারে ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও। কারণ তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদেই গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকারকে জেরা করতে পারবে সিবিআই - এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়েও জেরা করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। সোমবার তাঁদের দুজনেরও আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বেলা এম ত্রিবেদী ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠেছিল। তাতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ হল যদি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করা হয় তাহলে গ্রেফতারের আশঙ্কা কেন? সুপ্রিম কোর্ট এদিন আরও জানয়িছে প্রয়োজনে আগামী শুক্রবার শুনানির পরে রক্ষাকবচ দেওয়া হবে।
২০১৪ সালের প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র ওএমআর শিট দেখে নম্হর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। সেই সমস্থার কর্তা কৌশলিক মাজিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারই কলকাতা হাইকোর্টে টেট পরক্ষার খাতা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে। সেই সময় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল পর্ষদের বর্তমান সভাপতি-সহ অন্য আধিকারিকেরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকে ‘ডিজিটাইজ়ড কপি’ বলে দাবি করেছেন। সেই কারণেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময়ই কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল সিবিআই চাইলে সংশ্লষ্ট কোনও আধিকারিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকার রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আপাতত দুজনেরই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।