
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Job Scam Case) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন সংক্রান্ত হলফনামা সিবিআই(CBI)-এর কাছ থেকে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এনকে সিং-এর বেঞ্চে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তবে সিবিআই মামলায় এখনও জামিন পাননি। এদিন সুপ্রিম কোর্টে পার্থর জামিন মামলায় পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা জমা দিতে চায় সিবিআই। আর সেই কারণে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে ১ মাস বা চার সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালত চার সপ্তাহ সময় দিতে নারাজ। হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে শীর্ষ আদালত ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছে।
সিবিআই মামলায় জামিন পেতে মরিয়া পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। দ্বারস্থ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে সিবিআই প্রত্যেকবারই প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করে পার্থর জামিনের বিরোধিতা করেছে। কলকাতা হাইকোর্টেও জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সেই সময় ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি পার্থর জামিন নিয়ে সমমন হতে পারেননি। সেই কারণে মামলা গিয়েছিল তৃতীয় বেঞ্চ। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর তৃতীয় বেঞ্চ পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। তখন পার্থ সুপ্রিম কোর্টে যান। কিন্তু সেখানেও ঝুলে রইল তার জামিন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে এপ্রিল মাসে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া কৌশিক ঘোষ, আলি শাহিদ ইমাম, চন্দন মণ্ডল, সুব্রত সামন্তের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। কিন্তু পার্থ চটোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিন তিনি মঞ্জুর করেননি। অন্যদিকে, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।