অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ২৫ এপ্রিল থেকে রাজ্যে জনসংযোগ যাত্রা করতে শুরু করবেন তিনি। এই প্রচারের মাধ্যমে মানুষের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য প্রার্থী বাছাই করা হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আবারও নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করল ঘাসফুল শিবির। এদিন অভিষেক বলেন নির্বাচনে তাঁরাই প্রার্থী হবেন যাঁদের মানুষ বেছে নেবেন। 'তৃণমূলে নব জোয়ার' নামে কর্মসূচির সূচনাও করেন অভিষেক। সম্প্রতি তিনি একাধিক জনসভায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যারা স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজনীতি করছেন তাদেরও টিকিট দেওয়া হবে। মানুষ যাদের ওপর বিরক্ত, যারা মানুষের জন্য কাজ করে না তাঁদের পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেওয়া হবে না। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। আগামী ২ মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি। যার অর্থ জুন মাসে শেষ হবে এই কর্মসূচি।
তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচি
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ২৫ এপ্রিল থেকে রাজ্যে জনসংযোগ যাত্রা করতে শুরু করবেন তিনি। এই প্রচারের মাধ্যমে তিনি শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের দাবি জানাবেন। পাশাপাশি মানুষের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য প্রার্থী বাছাই করা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ৬০ হাজার প্রার্থী বেছে নেবে রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষ। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকেই এইভাবে প্রার্থী বাছাই করা হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, এই কর্মসূচি দুইভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগ জনসংযোগ যাত্রা। আর দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে গ্রামবাংলার মানুষের মনের মত প্রার্থী বাছাই। তৃণমূল সূত্রের খবর এই কর্মসূচির অধীনে রাজ্যের বিভিন্ন স্তরে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচির অধীনে জেলা থেকে বুথ সভাপতি ও এলাকার বিশিষ্ট মানুষকে ডাকা হবে অভিষেকের সভায়। সেখানের স্থানীয় সমস্যা আর উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হবে। সেখানেই এইকটি ক্যাম্পে গোপন ব্যালটে প্রার্থী নিয়ে স্থানীয়দের মতামত জানতে চাওয়া হবে। প্রার্থী প্রসঙ্গে ভোটদান করা হবে। তবে যারা ভোট দেবেন তাদের নাম ও পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। চাইলে অনলাইনেই ভোটদান করা হবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচির জন্য টানা দুই মাস কলকাতার বাইরে থাকবেন। তিনি রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় সভা করবেন তিনি। অভিষেক নিজেই বলেছেন এই কর্মসূচির সঙ্গে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার কোনও মিল নেই। তিনি আরও বলেছেন,তাঁকে যদি পায়ে হেঁটে গোটা রাজ্য় সফর করতে হয় তাহলে এক বছর লাগবে। সেই কারণেই তিনি সভা করবেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা অন্য রাজনৈতিক দলের ভোটার তাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন। তিনি আরও বলেছেন, এই সভার মাধ্যমে তিনি দলের জন্য বিকল্প প্রার্থীও খুঁজে বার করবেন।