
বীরভূমের তিনবারের সাংসদ তিনি। অনুব্রতহীন জেলায় চালাচ্ছেন জোর কদমে প্রচার। তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের দৌড় শুরু হয়েছে চতুর্থবার সাংসদ হওয়ার লক্ষ্যে। সোমবারই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে রোজগার সম্পর্কে তথ্য মিলেছে। জানা গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
শতাব্দী রায়ের মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি ৬০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা এবং তার স্বামীর মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে শতাব্দী রায়ের নামে ২ কোটি ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৯২ টাকার লোন থাকলেও স্বামীর নামে কোন লোন নেই। অন্যদিকে যদি শতাব্দী রায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকে নজর রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তিনি কলা বিভাগের স্নাতক।
শতাব্দী রায়ের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৬৯.৯৫ টাকা। শতাব্দী রায়ের স্বামীর নামে থাকা মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৩ লক্ষ ৭ হাজার ৭৩১.৩৭ টাকা।
বিদায়ী সাংসদ শতাব্দীর রায়ের ১০টি সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ১২টি, এছাড়াও রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, পলিসি, নিজের নামে রয়েছে একটি গাড়ি, রয়েছে বিভিন্ন রকমের সোনা ও অন্যান্য ধাতুর অলংকার।
শতাব্দী রায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ১৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৪৩ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ১১ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৯০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৫ লক্ষ ১১ হাজার ৭১০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ১১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৩০ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪১০ টাকা।
শতাব্দী রায়ের স্বামী ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৮৯ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৯০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৬ লক্ষ ৭৬০ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে তিনবারের এই সংসদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো রকম কেস বা মামলা নেই। সোমবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি হলফনামা জমা দেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।