মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে টিঙ্কু ঘোষ, শামি আখতার, অভিজিৎ ঘোষ-সহ সাত জনকে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর খুনের ঘটনায় ব্যবহত আগ্নেয়াস্ত্র- একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি ওয়ান শটার পিস্তল উদ্ধার করেছে। এছড়াও ২ জানুয়ারি যে পোশাক পরে খুন করতে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা সেগুলিও হাতে এসেছে পুলিশের।
মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে টিঙ্কু ঘোষ, শামি আখতার, অভিজিৎ ঘোষ-সহ সাত জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে সাতটি কার্তুজ। ঘটনার দিন অভিযুক্তরা যে জামা , জুতো পরেছে সেগুলিও পেয়েছে। তাই তদন্তপ্রক্রিয়া আরও সহজ হল বলেও মনে করছে তদন্তরারীরা।
বৃহস্পতিবার ঝলঝলির মাতালমোড় এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বাইকে চেপে তিন দুষ্কৃতী চড়াও হয় তাঁর ওপর। দুলাল সরকারকে লক্ষ্য করে পরপর খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। একটি গুলি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মাথায় লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান। তারপরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মালদা মেডিক্যাল কলেজে দুলাল সরকারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের অনুমান দুলাল সরকার খুনে আরও বেশ কয়েকটি মাথা রয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব না টাকা পয়সা - কী কারণে দুলাল সরকারকে খুন করা হয়েছে তা ওখনও স্পষ্ট নয়। তবে ২০২২ সালে পুরসভা ভোটে ইংরেজবাজার পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হন নরেন্দ্রনাথে স্ত্রী অঞ্জু তিওয়ারি। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে অঞ্জুকে ভোটে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দুলালের বিরুদ্ধে । এখানেই শেষ নয়, দুলাল বিরুদ্ধে তারপরই নরেন্দ্রনাথ ও তাঁর ভাইদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। সেই পুরনো শত্রুতার জেরেই কী এই খুন- তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।