কুণাল বলেন বিজেপি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করছে। আবার তারাই গেল গেল রব তুলছে। তিনি আরও বলেন, বাংলার দুর্গাপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা অনেক বড় করে হয়। কিন্তু তখন কোনও সমস্যা হয় না।
হাওড়া ও হুগলিতে হিংসার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকেই দায়ি করল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাম নবমীর মিছিলে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দায়ী বিজেপি। অন্য রাজ্য থেকে ভাড়াটে গুন্ডা এনে এই রাজ্যে হিংসা ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, বাংলার মানুষের মধ্যে হিংসা উসকে দেয় এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করে। পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ যে তৎপর তার বলতে সুমিত শ-র উদাহরণও তুলে ধরেন। তিনি বলেন বন্দুক হাতে রাম নবমীর মিছিলে থাকার জন্য বিহারের মুঙ্গের থেকে সুমিতকে গ্রেফতার করেছে হাওডা পুলিশ।
রাম নবমী পালনের নামে বিজেপি গুন্ডামিতে লিপ্ত হয়েছে। আজ, আমরা প্রশ্ন তুলেছি যে এই ভাড়াটে লোকদের মুঙ্গের থেকে কারা এনেছে? বাংলায় হিংসা ছড়িয়েছে? এটা বিজেপি এবং তাদের আসল চেহারা । যা প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি কুণালের প্রশ্ন সুমিতের হাতে কে বন্দুক তুলে দিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে দ্রুত অভিযুক্তদের খুঁজে বার করার আবেদন জানান হয়েছে পুলিশের কাথে। পাশাপাশি এই রাজ্যের সঙ্গে মুঙ্গরের কী সম্পর্ক তাও প্রকাশ্যে আনার কথা বলা হয়েছে পুলিশকে। পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ব্যক্তির সঙ্গে বিজেপির কী সম্পর্ক তাও বলতে হবে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের।
এদিন কুণাল বলেন বিজেপি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করছে। আবার তারাই গেল গেল রব তুলছে। তিনি আরও বলেন, বাংলার দুর্গাপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা অনেক বড় করে হয়। কিন্তু তখন কোনও সমস্যা হয় না। এই সমস্যা অন্যরা রমজান আর রামনবমীর শোভাযাত্রার আয়োজন করলেও হয় না। বিজেপির যোগ যেখানে থাকে সেখানেই এই সমস্যা হয় বলেও দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন পুলিশকে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূল ষড়যন্ত্রীদের খুঁজে বার করাই আসল উদ্দেশ্য।
বিজেপি নেতাদের নাম করে করে কুণাল বলেন, শুভেন্দু-সুকান্ত, দিলীপ আর লকেট উস্কানি দিচ্ছে। তারপর হিংসার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করছে। এটাই বিজেপির রাজনীতি বলেও তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। তিনি আরও বলেছেন, এর পিছনে দিল্লির হাত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
অন্যদিকে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একহাত নেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের ঘেরাটোপে লকেটের ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল দাবি করেছে, রিষড়ায় গিয়ে পুলিশের ব্যর্থতা আর বাংলাকে কাঠগ়ড়ায় তুলিছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি নিজের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য এই বাংলার পুলিশের ওপরই ভরসা রেখেছিলেন। তৃণমূল বলেছেন বাংলার পুলিশকে দোষারোপ করলেও বিজেপি নেতানেত্রীরা বাংলার পুলিশের নিরাপত্তা গ্রহণ করবে!
অন্যদিকে এদিন দিঘায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হুগলি ও হাওড়ার হিংসার পিছনে রয়েছে বিজেপি। তারা বাংলার হিংসা ছড়ানোর জন্য ভিন রাদ্য থেকে এই রাজ্যে ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে এসেছিল। যা আমাদের সংস্কৃতিতে নেই। বিজেপি এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়ে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করছে।' তিনি এদিন আরও বলেন, দাঙ্গাবাজদের কোনও ধর্ম হয় না। তারা শুধুই রাজনৈতিক গুন্ডা। 'আমি রাজ্যের সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি'- বলেও মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, এজাতীয় আশান্তিতে কখনই উস্কানি দেবেন না। তিনি হিন্দু-মুসলিম প্রতিটি রাজ্যবাসীর কাছেই সংযত থাকার আবেদন জানিয়েছেন।