বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। এবার তিনি পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)।
Humayun Kabir on Suvendu Adhikari: মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনেই তৃণমূলের সংখ্যালঘু বিধায়কদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি সেদিন বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের চ্যাংদোলা করে তুলে রাস্তায় ফেলবেন।
আর বুধবার, শুভেন্দুর সেই মন্তব্যের পাল্টা উত্তর দিলেন শাসক দলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তাঁর পরিষ্কার জবাব, “আমরা রসগোল্লা খাওয়াবো না।” তৃণমূল সরকারকে (TMC Government) নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী সেদিন বলেন, “এরা বাংলার হিন্দু জনগণকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। এই ঔদ্ধত্য দিল্লীতে কেজরিওয়াল করেছিল বলে ওখানকার মানুষ আপকে উপড়ে ফেলেছে। আগামী বছর বাংলাতেও তাই হতে চলেছে। ওদের দলের যে সব মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে, তাদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব!”
বুধবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে ঠিক তারই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “উনি যদি মারতে আসেন তাহলে আমরা কি রসগোল্লা খাওয়াবো নাকি? মুসলিম বিধায়কদের তিনি অসম্মান করবেন, আছাড় মেরে রাস্তায় ফেলার কথা বলবেন, আর তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াবো না। যা জবাব দেওয়ার তাই দেওয়া হবে। উনি আছাড় মারার কথা বলেছেন, আর আমি ঠুসে দেব।”
নিঃসন্দেহে এই মন্তব্য করে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) তথা বিরোধী দলনেতাকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন। আর বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে এবং মুসলিম বিধায়কদের কাছে ক্ষমা না চাইলে, তাঁকে দেখিয়ে দেওয়া হবে যে, তিনি আদতে কত বড় নেতা হয়েছেন। শুভেন্দুকে আসলে ৪২ জন মুসলিম বিধায়কদের সঙ্গে সরাসরি মোকাবিলা করতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারী ক্ষমা না চাইলে হুমায়ুন কবীর ঠিক কী করবেন, তা তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। তাঁর কথায়, সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে বিধানসভায় তাঁর ঘরের সামনে ৪২ জন সংখ্যালঘু বিধায়ক তাঁকে বুঝে নেবেন বলে দাবি তাঁর। আপাতত মুর্শিদাবাদে তাঁকে কোনওভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর যদি জোর করে ঢুকতে চান, তাহলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে যে, তাদের কত ক্ষমতা!
হুমায়ুন জানিয়েছেন, “শুভেন্দু অধিকারী শুধু মেদিনীপুর বা কলকাতার বিরোধী দলনেতা নন, গোটা রাজ্যের। তাই তিনি কত বড় মাতব্বর হয়েছেন, দেখে নেব। মুর্শিদাবাদে তাঁকে ঢুকতে দেব না।”
এই প্রসঙ্গে অতীতের কথাও মনে করিয়ে দেন শাসক দলের এই বিধায়ক। গত ২০১৬ সালে কী হয়েছিল, সেটাই আরও একবার মনে করিয়ে দেন তিনি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।