আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযান। কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে ধর্নায় বসতে চলেছে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা নেত্রীরা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে প্রচারের সময়ই কথা দিয়েছিলেন প্রয়োজনের দলের নেতা কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে তিনি দিল্লিতে নিয়ে যাবেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্না অবস্থানের জন্য। এবার অনেকটা সেই পথেই হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ধর্না অবস্থানের জন্য আস্ত একটা দূরপাল্লার ট্রেনই বুক করেছে ঘাসফুল শিবির। তেমনই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা। যদিও দলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানান হয়নি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযান। কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে ধর্নায় বসতে চলেছে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা নেত্রীরা। তবে পায়ে চোট পাওয়ার কারণে উপস্থিত হবেন না সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'মোদীর দুয়ারে' অভিযানের নাম। এই অভিযানে সামিল হওয়ার কথা রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার সমর্থকের। দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি আস্ত ট্রেন বুক করেছে বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর।
২১ এর মঞ্চ ছেকেই দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন সাংসদ ও তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন তিনি। তিনি উত্তরবঙ্গে তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচির সময়ও দিল্লি অভিযানের কথা বলেছিলেন। দিল্লির কৃষি ভবনের বাইরে এই অভিযান হবে। এজাতীয় অভিযানের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে ছাপ ফেলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের এই অভিযান নিয়ে কিছুটা হলও চিন্তায় রয়েছে দিল্লি পুলিশ। সূত্রের খবর কতজন ধর্না অবস্থানে অংশগ্রহণ করবে তারও খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে।
দিল্লিতে ধর্না অবস্থানের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার চিঠি কেন্দ্র সরকারকে পাঠাবে। ইতিমধ্যেই সেই চিঠি সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। চলতি সপ্তাহে এই দিল্লি অভিযান নিয়ে একটি ভার্চুয়াল সভা করতে পারেন অভিষেক। তারও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সবমিলিয় জোর প্রস্তুতি ঘাসফুল শিবিরে।