নির্বাচন কমিশনের একজন আধিকারিক সোমবার বলেছেন যে জনগণকে ভোটার স্লিপ দিয়ে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। ভোটার স্লিপগুলি ভোট দেওয়ার এক বা দুই দিন আগে রাজনৈতিক দলগুলি বিতরণ করে বা সেগুলি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকেও ডাউনলোড করা যেতে পারে।
রাজ্যের সাম্প্রতিক ঝড় যাতে ভোটকে প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন বলেছে যে জলপাইগুড়ি শহর, ময়নাগুড়ি এবং অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়-আক্রান্ত এলাকার ভোটাররা যাতে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। রবিবার ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ভাঙচুরের কারণে তাদের ভোটার কার্ড ও অন্যান্য নথি নষ্ট বা হারিয়ে গেলেও ভোট দিতে পারবেন রেজিস্টার্ড ভোটদাতারা। সেক্ষেত্রে ভোটার স্লিপ দেখালেই ভোট দেওয়া যাবে।
নির্বাচন কমিশনের একজন আধিকারিক সোমবার বলেছেন যে জনগণকে ভোটার স্লিপ দিয়ে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। ভোটার স্লিপগুলি ভোট দেওয়ার এক বা দুই দিন আগে রাজনৈতিক দলগুলি বিতরণ করে বা সেগুলি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকেও ডাউনলোড করা যেতে পারে।
জলপাইগুড়িতে ঝড়ের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন
রবিবার জলপাইগুড়ি শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় আকস্মিক ঝড় এবং ভারী বৃষ্টির কারণে কমপক্ষে 5 জনের মৃত্যু হয়েছে এবং 200 জনেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে। এরপর এসব এলাকায় ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে। তিনি বলেন, অনেকের ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে বা এ ধরনের মানুষ নানা কারণে সমস্যায় পড়ছেন।
বহু মানুষের বাড়িঘর ও সমস্ত জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
এসবের মধ্যে নির্বাচন কমিশনও তৎপরতা দেখিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সাথে কথা বলার সময় একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে এটি একটি বিপর্যয় এবং জরুরি অবস্থা। বহু মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় সবকিছু হারিয়েছে। এই দুর্যোগে এমন অনেক মানুষ থাকতে পারে যাদের ভোটার আইডি কার্ড নষ্ট হয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে। আমরা নিশ্চিত করব যে এই ধরনের লোকেরাও ভোট দিতে পারে। এই ধরনের লোকদের ভোটার স্লিপ ব্যবহার করে তাদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
১১টি ভোটকেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে, ১৯ এপ্রিল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি আসনে ভোট হওয়ার কথা। ওই আধিকারিক বলেন, রবিবারের ঝড়ে ১১টি বুথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। ভোটের তারিখের আগে সবকিছু পুনরুদ্ধার করার জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট সময় আছে।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।