
Mamata Banerjee News: সোমবার দুপুরে শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee News)। অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ভবিষ্যতের চাহিদাকে মাথায় রেখে শালবনিতে ৮০০ মেগাওয়াট করে দু’টি পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মিত হবে।
জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করছে জিন্দাল গোষ্ঠী(Jindal Group)। সেই সঙ্গে ওই সংস্থা একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনাও করেছে। তাই এই প্রকল্প ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কয়েক হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি করছে রাজ্য সরকারের (West Bengal News)।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দাল গোষ্ঠীর পাওয়ার প্লান্ট উদ্বোধনের পর একাধিক সরকারি কর্মসূচিতে দুই দিনের জঙ্গলমহল জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার আগমনকে ঘিরেই রীতিমতো সাজো সাজো রব জেলা জুড়ে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার অর্থাৎ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর একটা নাগাদ পৌঁছবেন শালবনি দিনতাল গোষ্ঠীর প্ল্যান্টে আয়োজিত শিলান্যাস অনুষ্ঠানে। সেইখানের অনুষ্ঠান ছেড়ে তিনি মেদিনীপুর শহরে সার্কিট হাউসে রাত্রি যাপন করবেন এবং পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সরকারি একাধিক সুবিধে প্রদানের অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন এবং বিভিন্ন সরকারি অনুদান বিতরণ করবেন।
প্রসঙ্গত, এই বছর আয়োজিত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন জিন্দাল গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দাল। তিনি জানিয়েছিলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ৮০০ মেগা ওয়াটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে তারা। এই মর্মে ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তাদের শিল্পগোষ্ঠী। এবার কয়েক মাস কাটতেই সেই কেন্দ্রেরই শিলান্যাস করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে এই শালবনিতে হওয়ার কথা ছিল ইস্পাত কারখানা। সাধারণ মানুষের থেকে পাওয়া জমিতে শিলান্যাসও হয়েছিল কারখানার। কিন্তু তা আর তৈরি হয়ে ওঠেনি। ঘরের কাছে চাকরির স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় শালবনির বাসিন্দাদের।
পরিবর্তে ২০১৮ সাল নাগাদ তৈরি হয় বাংলার বৃহত্তম সিমেন্ট কারখানা। কিন্তু তারপরেও শিল্পের প্রতি টান কমেনি শালবনির। আশা ছিল আরও কিছু তৈরি হবে। এবার নির্বাচনের আগেই সেই স্বপ্নপূরণ করে শালবনি শিল্পের তালিকায় জুড়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎও। ২ হাজার একরের শিল্পতালুক জমিতে গড়ে উঠতে চলেছে সেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। জিন্দাল গোষ্ঠীর কথায়, ‘এবার দেশের পাওয়ার হাউস হবে এই বাংলা।’ সফল হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।