
Mamata On DVC: মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় হওয়াতে গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে পথঘাট জলের তলায়। তার উপর ডিভিসি থেকে রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ায় রীতিমত বন্যা পরিস্থিতি বাংলা একাধিক জেলায়। জলের তলায় বাঁকুড়া, ঘাটাল, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলা। জলযন্ত্রণায় জেরবার সাধারণ মানুষ। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এবার ডিভিসি-কে কড়া আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ডিভিসির জল ছাড়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
“বন্যা নিয়ন্ত্রণ" আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’ দিয়েছে। DVC-র এবারের ব্যর্থতা শুধু অন্যান্যবারের থেকে বেশিই নয়, অভূতপূর্ব। স্পষ্টতই, কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি ক্রমশ আরো বেশি বেশি করে বাংলা-বিরোধী হয়ে উঠছে। সারা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলা-বিরোধী পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিস্থিতিকে দেখতে হবে।
২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর DVC-র জল ছাড়ার পরিমাণ ১১ গুণ বেড়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ৩০ গুণ!! দক্ষিণবঙ্গে বন্যা ঘটানোর জন্য এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বাংলাকে বিপদে ফেলার জন্য এটা আরো বেশি বেশি করে ঘটাতে থাকা ম্যান-মেড বিপর্যয়।
তথ্যই সব বলে দিচ্ছে:
•২০২৪ সালের জুন ও জুলাই মাসে DVC থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৪,৫৩৫ লক্ষ কিউবিক মিটার
•২০২৫ সালের জুন ও জুলাই মাসে DVC থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৫০,২৮৭ লক্ষ কিউবিক মিটার
এই বছর এই বিপুল ও নজিরবিহীন পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিধ্বস্ত হয়েছে, বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রচুর বাঁধ ভেঙেছে, অসংখ্য রাস্তা ভেঙেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে – তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
বাংলায় বন্যা ঘটানোর জন্য জল ছাড়ার পরিমাণ যেভাবে ক্রমাগত বাড়ছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক। এর মধ্যে আমি স্পষ্টই গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি!
অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া দরকার।''
অন্যদিকে, ফের জল ছাড়ল ডিভিসি। আগের তুলনায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। মাইথন ও পাঞ্চেত দুই জলাধার থেকে ৫৭ হাজার ৩৩০ কিউসেক জল ছাড়া শুরু করল ডিভিসি। এদিন মাইথন থেকে ২২ হাজার ৫৬২ কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৪ হাজার ৭৬৮ কিউসেক জল ছাড়ে। যারফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি। সিকিম ও উত্তরবঙ্গের অতি ভারী বৃষ্টিপাত এমনিতেই। যারফলে তিস্তা এবং ফুঁসছে অন্যান্য নদীগুলো। তিস্তার জল ঢুকতে শুরু করেছে অসংরক্ষিত এলাকায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।