দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ প্য়াঁড়া, গজা বিলি নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, আগামী ২৭ জুন শুক্রবার রথযাত্রার আগেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বাসিন্দার বাড়ি-বাড়ি পৌঁছবে জগন্নাথ প্রভুর প্রসাদ।
210
কীভাবে বাড়িু-বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে প্রসাদ?
এই বিষয়ে গত শনিবার দিনই রবীন্দ্র সদনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছিলেন যে, দুয়ারে রেশনের মতোই রেশন ডিলারদের মাধ্যমে বাংলার প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে এই মহাপ্রসাদ।
310
বড় সিদ্ধান্ত রেশন ডিলারদের
স্বয়ং জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বলে কথা। তা বিলি করতে যদি সরকারের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় তাহলে যে পাপ লাগবে! আর এই জন্যই প্রসাদ নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে এই প্রসাদ বাড়ি বাড়ি বিলির কাজে কোনও রকম পারিশ্রমিক নেবেন না রেশন ডিলাররা।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের তরফে যেমন কোনও রকম দক্ষিণা ছাড়াই ভক্তদের বাড়ি-বাড়ি প্রসাদ বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তেমনই রেশন ডিলাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা দুয়ারে প্রসাদ বিলির ক্ষেত্রে কোনও রকম ভর্তুকী নেবেন না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা তাঁরা পরবর্তী মিটিংয়ের সময় সরকার পক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
510
কোথা থেকে বানানো হবে প্য়াঁড়া-মিষ্টি?
সরকারি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এলাকার কোন মিষ্টির দোকান থেকে বানানো হবে প্য়াংড়া-গজা তা ঠিক করে দেবে ওই এলাকার পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে যে ক্ষোয়া ক্ষীর মিশবে তা আসবে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রভুর ভোগ থেকে। আর তারপরই প্য়াঁড়া-গজার সঙ্গে তা মিশিয়ে বানানো হবে মিষ্টান্ন। এবং এই প্রসাদই যাবে রাজ্যের প্রত্যোকটা বাসিন্দার বাড়ি-বাড়ি।
610
কত টাকা করে রেশন ডিলারদের ভর্তুকি দেওয়া হবে?
রাজ্য সরকারের তরফে এই প্য়াকেট বাড়ি বাড়ি বিলি করার জন্য প্রতি প্যাকেট একটাকা করে ভর্তুকি বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে রাজ্যের ১১ কোটি রেশন গ্রাহকদের ধরলে মোট ১১ কোটি টাকা পাওয়ার কথা রেশন ডিলারদের। আর এই ১১ কোটি টাকা ভর্তুকী নেবেন না রেশন ডিলাররা। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
710
জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রসাদ নিয়ে বৈঠক
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে এক দফায় বৈঠক করা হয়ে গিয়েছে। চলতি মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বাড়ি বাড়ি বিলির প্রক্রিয়া। রথযাত্রার মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলা হবে।
810
কবে থেকে শুরু হচ্ছে প্রসাদ বিলির কাজ?
নবান্ন সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৭ জুন থেকে শুরু হয়ে যাবে বাড়ি-বাড়ি এই প্রসাদ বিলির কাজ। উল্টোরথের মধ্যেই এই কাজ সেরে ফেলতে চাইছে মন্দির ট্রাস্টি। ফলে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এই কাজ।
910
কীভাবে প্রসাদ বিলি করবেন ডিলাররা?
রেশন ডিলারদের ফেডারেশনের সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, যেহেতু সোমাবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দুয়ারে রেশন চালু থাকে ফলে সপ্তাহে এই পাঁচদিন গ্রাহকরা দুয়ারেই জগন্নাথ দেবের প্রসাদ পেয়ে যাবেন। বাকি শনিবার ও রবিবার যেহেতু রেশন দোকানেই রেশন দেওয়া হয় ফলে ওই দুই দিন রেশন দোকান থেকেই প্রসাদ মিলবে।
1010
প্রসাদের গুণমানে জোর দিচ্ছে সরকার
যেহেতু রেশন ডিলারদের মাধ্যমে বাড়ি-বাড়ি এই প্রসাদ বিলি করা হবে। তাই প্রসাদের গুণমানের উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, এর জন্য ফুড ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রেশন ডিলারদের দাবি, প্রসাদ কতদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে তাও উল্লেখ থাকুক প্যাকেটের গায়ে।