আজ নবান্নে ঢুকতে মানতে হচ্ছিল বেশ কিছু নিয়মও। দেখে নেওয়া যাক নির্দেশিকা।
বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রের সমান মহার্ঘভাতার দাবিতে আজ রাজ্য জুড়ে চলছে সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘট। এদিকে ধর্মঘট নিয়ে প্রথম থেকেই কড়া মনোভাব প্রশাসনের। বৃহস্পতিবারই এই মর্মে প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। শুক্রবার সকালে আবার হাজিরার রিপোর্ট তলব করা হয় নবান্নর পক্ষ থেকে। সকাল ১১ টার মধ্যেই হাজিরা রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাজিরা খতিয়ে দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ পৌঁছে যায় বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। আন্দোলন উপেক্ষা করে কতজন হাজিরা দিল সে নথি শুক্রবার দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের উপস্থিতির হার পাঠাতে হব নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই এই ফরম্যাট পৌঁছে গিয়েছে দফতরে দফতরে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই উপস্থিতির হার জানা যাবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন দফতর। তবে এখানেই শেষ নয়। আজ নবান্নে ঢুকতে মানতে হচ্ছিল বেশ কিছু নিয়মও। দেখে নেওয়া যাক নির্দেশিকা।
নবান্নে প্রবেশে আজ কী কী নিয়ম মানতে হচ্ছে?
ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও নবান্নে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি। নবান্নে আজ আইডি কার্ড ছাড়া কোনও সরকারি কর্মীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নবান্নে ঢোকার আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের দেখাতে হচ্ছে নিজের পরিচয়পত্র। তবে আজ অন্যান্য দফতরের কোনও সরকারি কর্মী আপাতত নবান্নে ঢুকবেন না। শুধুমাত্র নবান্নে যাঁরা কর্মরত রয়েছেন। তাঁদেরই আজ প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
কতটা প্রভাব ধর্মঘটের?
শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় দেখা গিয়েছে ধর্মঘটের প্রভাব। একাধিক সরকারি অফিসে কর্মচারিদের একাংশ কাজ বন্ধ করে ব্যানার পোস্টার হাতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। মহাকরণের বাইরেও বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে স্লোগান, ধরনা, অবস্থান করেন বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মী। এছাড়াও ধর্মঘটের জের দেখা দিয়েছে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল, কলেজগুলিতেও। যোগমায়া দেবী কলেজে সকাল থেকেই ক্লাস বন্ধ। পড়ুয়াদের সূত্রে খবর অধ্যাপকরা এলেও ক্লাস হবে না বলে জানানো হয়েছে। পঠনপাঠন বন্ধ সরকারি প্রাথমিক স্কুলেও শিক্ষকরা।
ধর্মঘট রুখতে নবান্নর পদক্ষেপ
আন্দোলন রুখতে আরও কড়া রাজ্য সরকার। সকাল ১১ টার মধ্যেই হাজিরা রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাজিরা খতিয়ে দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ পৌঁছে যায় বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। আন্দোলন উপেক্ষা করে কতজন হাজিরা দিল সে নথি শুক্রবার দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের উপস্থিতির হার পাঠাতে হব নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই এই ফরম্যাট পৌঁছে গিয়েছে দফতরে দফতরে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই উপস্থিতির হার জানা যাবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন দফতর। ধর্মঘট নিয়ে বৃহস্পতিবারই নবান্নর তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে শুক্রবার প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। কিন্তু ধর্মঘট ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। ওদিন সমস্ত সরকারি কাজকর্ম যাতে স্বাভাবিক থাকে সেবিষয় হুঁশিয়ারি দিল নবান্ন। বৃহস্পতিবার এই মর্মে অর্থ দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে শুক্রবার ছুটি পাবেন না কোনও কর্মী। স্কুল কলেজ-সগ যাবতীয় সরকারি ও সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানও শুক্রবার পূর্ণ দিবস খোলা থাকবে বলেও এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে একমাত্র কোনও কর্মচারী যদি আগে থেকে ছুটি নিয়ে থাকেন অথবা হসপাতালে ভর্তি থাকেন একমাত্র সে ক্ষেত্রে ছুটি মঞ্জুর হতে পারে।