পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় প্রসন্ন রায়ের নামে আড়াই বিঘা জমি রয়েছে সাপুরজিতে। রাজারহাট মোহাম্মদপুর ধারসা মৌজায় দশ কাটা জমির ওপর বাগান বাড়ি রয়েছে তাঁর।
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই উঠে এসেছে একের পর এক সন্দেহভাজনের নাম এবং তালিকা। ইডি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই রাজ্যের অন্দরে লুকিয়ে থাকা বহু দুর্নীতিবাজের নাম জেরার মুখে পড়ে ফাঁস করে দিয়েছেন।
এমনই এক ঘনিষ্ঠের নাম প্রসন্ন রায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় প্রসন্ন রায়ের নামে আড়াই বিঘা জমি রয়েছে সাপুরজিতে। ৫ বছর আগে এটা ঘেরা হয় পাঁচিল দিয়ে। জলাশয় জমি কেনা হয়েছিল, পরবর্তী ক্ষেত্রে এটা ঘিরে ফেলা হয়। তারপর মাটি ফেলে জলাশয় বুজিয়ে দেওয়া হয়। রাজারহাট মোহাম্মদপুর ধারসা মৌজায় প্রসন্নকুমার রায়ের দশ কাটা জমির ওপর বাগান বাড়ি রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জনৈক আমিন মাস্টারের হাত ধরেই এই জমি কিনেছিলেন প্রসন্ন। সম্পর্কে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নি-জামাই।
গত ২৪ অগাস্ট দুর্নীতি কাণ্ডে প্রদীপ সিংহ নামে এক জন গ্রেফতার হন। তিনি যে সংস্থায় কাজ করতেন, শুক্রবার সেই সংস্থার মালিককে গ্রেফতার করে নেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তিই প্রসন্ন রায়।
সিবিআই গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, রিয়েল এস্টেট সহ প্রসন্ন রায়ের একাধিক ব্যবসায় এসএসসির টাকা খাটানো হত। অভিযোগ উঠছে, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে একপ্রকার প্রভাব খাটিয়েই সল্টলেকের জিডি ব্লকের অফিসটিকে দখল করে রেখেছিলেন প্রসন্ন রায়। সূত্র মারফত খবর এসেছে, ইতিমধ্যেই প্রসন্ন রায় ও তাঁর ভাড়া গাড়ির সংস্থার কর্মী প্রদীপ সিং-এর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে এসেছে।
প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করত নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার অন্য মিডলম্যান প্রদীপ সিং। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগণা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের ‘ডিল’ হত সল্টলেকের অফিস থেকে। প্রসন্ন ও প্রদীপের কাছে এমন চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও থাকত বলে সূত্রের খবর।