কঠোর নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান কার্যালয় নবান্ন ও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন হরিশ চ্যাটার্জি স্টিটে পৌঁছে যাচ্ছে হাফিজুল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সত্যিই কি মানসিক অসুস্থতা নাকি সবকিছুই পূর্বপরিকল্পনা, ধন্দ্বে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
মুখ্যমন্ত্রী কাণ্ডে কে এই হাফিজুল? সত্যিই কি মানসিক অসুস্থতা নাকি মানসিক অসুস্থতার মুখোশের আড়ালে অন্য এক মুখ? উল্লেখ্য, ১ জুলাই রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চুপিসাড়ে ঢুকে পড়েছিল হাফিজুল মোল্লা নামে এক যুবক। জামার নিচে লোহার রড নিয়ে সে একটি ঘরে সারারাত লুকিয়ে ছিল। ২ জুলাই সকালে তাকে সেই ঘরে দেখেতে পেয়ে পুলিশ আটক করে গ্রেফতার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিরাপত্তা বলয় সব সময় বজ্র আঁটুনি হওয়ার কথা। কিন্তু, হাফিজুলকাণ্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে দেয়।
বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার আশারিয়া নারায়ণপুরের তিরিশ বছরের যুবক হাফিজুল মোল্লা। তার পুরো পরিবার বামপন্থী আদর্শে অনুপ্রেরণিত। ইদানিং কয়েক বছর ধরে তৃণমূল করছে তারা। গত ২৫ বছর ধরে গ্রাম সভা আসন কংগ্রেস দখল করে রেখেছিল। সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে একটি ভালো জোট ছিল এলাকায়। আস্তে আস্তে পায়ের তলা থেকে রাজনৈতিক বিচ্যুতি ঘটতে, পরোক্ষভাবে পরিবারটি তৃণমূলকে সমর্থন করা শুরু করে।
পরিবার সূত্রে খবর হাফিজুল সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তারপর বাড়িতে বসে বিড়ি বাঁধার কাজ, আবার কখনো রাস্তার পাইলিং এর কাজ করতো। কলকাতায় এসে গাড়ি চালানো শুরু করে সে। পরিবারের লোক মানসিক সমস্যার কথা বললেও তার চলাফেরা জীবন সংগ্রাম অন্য কথা বলছে। পুলিশ মনে করছে এর মধ্যে আসল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ দিনে পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়েছে হাফিজুলক। এর আগেও নবান্নে ঢুকতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিল হাফিজুল, ফের কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বলায় ভেদ করে গভীর রাত্রে বাড়িতে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটাল সে।
যত সময় যাচ্ছে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। পরিবারের লোক যতই দাবি করুক তার মানসিক সমস্যা আছে. পুলিশ তা মানতে নারাজ। কেন বারবার নবান্ন ও কালীঘাটে সে চলে যাচ্ছে, তা জানতে চাইছে পুলিশ। কঠোর নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান কার্যালয় নবান্ন ও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন হরিশ চ্যাটার্জি স্টিটে পৌঁছে যাচ্ছে হাফিজুল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সত্যিই কি মানসিক অসুস্থতা নাকি সবকিছুই পূর্বপরিকল্পনা, ধন্দ্বে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। কেনইবা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছুটে যাওয়া, এর পিছনে বড় কোন চক্র অর্থাৎ বড় মাথা কাজ করছে নাতো, প্রশ্ন উঠছে।