বাড়িতে ঢুকে এক চিকিৎসকের স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করল গাড়ির চালক। গুরুতর জখম ওই চিকিৎসকও। অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার শোরগোল পড়েছে বর্ধমান শহরে।
আক্রান্ত চিকিৎসকের নাম সুব্রত নাগ। বর্ধমান শহরের তুলা লেন এলাকায় স্ত্রী মৌসুমীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে আমেরিকায় থাকেন। ওই চিকিৎসকের গাড়ির চালক তপন দাস। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় কুড়ি বছর ধরে চিকিৎসক সুব্রত নাগের বাড়িতে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করছিলেন তপন। তবে ইদানিং বেতন নিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে গাড়ির চালকের বিবাদ চলছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে সুব্রত নাগের বাড়িতে চড়াও হয় তপন। বাড়িতে ঢুকেই প্রথমে কেয়ারটেকারকে হুমকি দিয়ে তাড়িয় দেয় সে। এরপরই চিকিৎসক সুব্রত নাগ ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমীকে লাঠি দিয়ে তপন বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী, রেহাই পাননি বাড়ির পরিচারিকাও। ভয়ে লুকিয়ে পড়েন তিনি। এদিকে গাড়ির চালকের বেধড়ক মারে ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন ওই চিকিৎসক দম্পতি। শেষপর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দা রক্তাক্ত সুব্রত ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতালে মৌসুমীকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন সুব্রত নাগ।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্তকে তপন দাসকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। অভিযুক্ত গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমান শহরে। আক্রান্ত চিকিৎসকে আমেরিকা নিবাসী ছেলেকে খবর দিয়েছেন প্রতিবেশী।