মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়ে দেহ কবরস্থ করা হয়েছে। তাই তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হোক। শুক্রবার মৃতের পরিবারের তরফে অশোকনগর থানায় দ্বারস্থ হয়ে একথা জানানো হয়েছে।
২৩ নভেম্বর (23 November) দুপুরে নিজের বাড়িতেই অসুস্থ (Ill) হয়ে মৃত্যু (Death) হয় এক আদিবাসী মহিলার (Tribal Woman)। মৃতের নাম মোনা রায় (৪০)। এরপর তাঁকে পরিবারের তরফে (Family Member) এলাকার একটি শ্মশানে (Crematorium) কবর (Grave) দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যরা অশোকনগর থানায় (Ashoknagar Police Station) দ্বারস্থ হয়। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়েই মোনাকে কবর দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণও তাঁরা জানেন না। তাই তাঁদের দাবি, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত (Post Mortem) করা হোক। আর সেই জন্যই মৃত্যুর প্রায় তিন দিন পর কবর থেকে তোলা হল মোনা রায়ের দেহ। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরের নটনি দে পাড়া এলাকার ঘটনা।
মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়ে দেহ কবরস্থ করা হয়েছে। তাই তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ (Death Reason) জানতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হোক। শুক্রবার মৃতের পরিবারের তরফে অশোকনগর থানায় দ্বারস্থ হয়ে একথা জানানো হয়েছে। এদিকে, পরিবারের এই আবেদন পত্র পেয়ে তৎপর হয় অশোকনগর থানার পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে অশোকনগরের নটনি পাড়ডাঙা এলাকায় মোনাকে যেখানে কবর দেওয়া হয়েছিল সেই কবর থেকে দেহ তোলা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই কবর খোঁড়া হয়েছিল। শনিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে (Barasat District Hospital) পাঠানো হবে। মোনার মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ ওরাংকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ (Police)।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের মেয়ে বলে, "মায়ের শরীর কয়েকদিন ধরেই ভালো ছিল না। বাবা ডাক্তার দেখিয়েছিল। তারপর মঙ্গলবার দুপুরে রান্না করে মাকে খাইয়ে দিয়েছিলাম। খাওয়ার পর মা আমার সঙ্গে বসে গল্প করছিল। তারপর হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। আমি জল দিই মাথায়। তারপরই সবাই বলে যে মা মারা গিয়েছে। এদিকে বাবাকে পুলিশে ধরে নিয়ে গিয়েছে। বাবা সবই করেছে কিন্তু তারপরও বাবাকে পুলিশ ধরেছে। সবাই বলছে যে মামারা মামলা করেছে বলেই বাবাকে ধরেছে পুলিশ। ছোট বোনকে নিয়ে খুবই অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমরা দিন কাটাচ্ছি।"
এর আগে মালদহে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার দেহ কবর থেকে তোলা হয়েছিল। আসলে মেয়ের আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি মা। প্রথম থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল তাঁর মনে। এরপরই মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কবর থেকে তোলা হয়েছিল মেয়ের মৃতদেহ। নাবালিকার মৃত্যুতে শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন ওই মহিলা। লোকাল ম্যাজিস্ট্রেট ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির উপস্থিতিতে ওই নাবালিকার মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তা মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মিলনগড় কোচপুকুর এলাকার।