বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। নিহতের নাম সুলতা পারুই(৫২)। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী থানার রাধারানীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। মহিলাকে খুনের ঘটনায় হারু মণ্ডল ওরফে সুদর্শন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
এলাকাবাসীদের দাবি, বিবাহিত হলেও সুদর্শন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সুলতার সঙ্গে। তা নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। বছর খানেক আগে সুদর্শনের স্ত্রী মানসী স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান সন্তানের সাথে। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকেই সুলতাকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন সুদর্শন। সুলতা নিজেও আগে থেকেই বিবাহিত। তার স্বামী কর্মসুত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। স্বামীর অবর্তমানে এই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার হত্য়াকাণ্ডে ঝাড়খণ্ডের সুপারি কিলারের যোগ
আরও পড়ুন- মহিলাদের মন জিতে প্রতারণা, শিক্ষকের স্ত্রী বিউটিকেও কি ফাঁসিয়েছিল শৌভিক
আচমকা রবিবার রাতে স্থানীয় মানুষজন চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে ছুটে গিয়ে দেখেন ঘরের মধ্যে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছেন সুলতা। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ও রয়েছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
যদিও নিহতের মেয়েদের দাবি, তাঁদের মায়ের কোনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না। টাকা পয়সার জন্যই তাঁদের মাকে খুন করা হয়েছে বলে বলে দাবি নিহতের মেয়েদের। তবে ঠিক কী কারণে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। পুলিশের অনুমান এই ঘটনার পিছনে সুদর্শনের প্রথম স্ত্রী মানসী ও তার ছেলে জড়িত থাকতে পারে। তবে ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।