ফের মালদহে গণপিটুনি। আবারও সাইকেল চোর সন্দেহে ভরদুপুরে হাত-পা বেঁধে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আক্রান্তকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
আক্রান্ত যুবকের নাম সুজিত সরকার। বাড়ি মালদহ শহরের বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায়। শনিবার দুপুরে শহরের রথবাড়ি এলাকায় সুজিতকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর হাতে নাকি আবার তালা ভাঙার একটি প্লাসও ছিল। অন্তত তেমনই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। ব্যস আর যায় কোথায়! সাইকেল চোর সন্দেহে হাত-পা বেঁধে রাস্তায় ফেলে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন মালদহের রথবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু সুজিতকে হঠাৎ সাইকেল চোর কেন ভাবলেন হামলাকারীরা? জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে রথবাড়ি এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি সাইকেল চুরি হয়ে গিয়েছে। কোনও ঘটনারই এখনও কিনারা হয়নি। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত যুবককে উদ্ধার করে ভর্তি করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে খবর দেওয়ার অনেকক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বলে অভিযোগ।
কখনও ছেলেধরা, তো কখনও আবার চোর। স্রেফ সন্দেহের বশেই এ রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে। গত মাসেই মালদহ শহরের রামকৃষ্ণপল্লিতে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন দুই যুবক। তাঁদেরও হাত-পা বেঁধে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। রামকৃষ্ণ পল্লি এলাকাটি বেশ জমজমাট। রাস্তার দুই ধারে অসংখ্য দোকান, রয়েছে শপিং মলও। কিন্তু এলাকায় চোরের উপদ্রবও যথেষ্ট। রোজই নাকি চুরি হয়ে যায় অসংখ্য মোবাইল। ঘটনার দিন বাইক ও মোবাইল চুরি পালানোর সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান আক্রান্ত ওই দুই যুবক। তেমনই দাবি হামলাকারীদের। শেষপর্যন্ত ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। স্রেফ মালদহেই নয়, দিন কয়েক আগে গরু চোর সন্দেহে কোচবিহারে দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালে মারা যান তাঁরা।