সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বন্দি বাংলার যুবক, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পরিবারের

  • সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি
  • বন্দির মতো দিন কাটছে বীরভূমের এক যুবকের
  • তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা-ও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ
  • ছেলে ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ পরিবার 

Tanumoy Ghoshal | Published : Nov 15, 2019 11:30 AM IST

সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়েছে ছেলে।  বেতন বন্ধ, রীতিমতো মানসিক অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকেদের দাবি, দেশে ফিরতে আসতে চেয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা কেড়ে নেওয়া হয়ছে। ছেলেকে ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। তবে ওই যুবক একা নন, সৌদি আরবে ভারতের ২৫ জন যুবকের বন্দির মতো দিন কাটছে বলে জানা গিয়েছে। 

বীরভূমের মল্লারপুরে  মল্লারপুরে বাড়ি ফিরোজউদ্দিনের। অভাবে সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে  ভিনদেশের কাজ করতে গিয়েছেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা এক ব্যক্তির মারফৎ কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে যান ফিরোজউদ্দিন। তাঁর সঙ্গে আরবে গিয়েছেন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের যুবক চিরঞ্জিৎ বাগদিও। ফিরোজউদ্দিনের বাড়ির লোকের দাবি, ওই দুই যুবককেই একটি কোম্পানিতে কাজ দেওয়ার কথা বলে সৌদি আরবে পাঠানো হয়।  কিন্তু রিয়াদে শসা ও টমেটো পার্কিং করা কাজ দেওয়া হয় ফিরোজউদ্দিন ও চিরঞ্জিৎকে। 

পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সৌদি আরবে শসা ও টমেটো পাকিং করে মাসে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন ফিরোজউদ্দিন।  কিন্তু প্রায় দেড় বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না তিনি। বিদেশে কাজ করতে দিন কাটছে বন্দির মতো। রিয়াদ থেকে ফোনে ফিরোজউদ্দিন জানিয়েছেন, আরবে মরু এলাকা  ভারতের ২৫ জন যুবককে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁদের শুধু দু'বেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে। আর দেশে ফেরার কথা বললেই, রীতিমতো মানসিক অত্যাচার করছেন শসা ও টমেটো পাকিং সংস্থার মালিক।  এমনকী, পাসপোর্ট ও ভিসাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ছেলের দুর্দশার কথা জানতে পেরে উদ্বেগে ফিরোজউদ্দিনের পরিবারের লোকেরা। 

এদিকে ছেলের দুর্দশার কথা জানতে পেরে উদ্বেগ ফিরোজউদ্দিনের পরিবারের লোকেরা।  রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা। কিন্তু ইতিবাচক কোনও আশ্বাস মেলেনি বলে অভিযোগ।  তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল। 

Share this article
click me!