গুনগুলো যেমন সাফল্যের পথ অনুকূল করে, তেমনই খারাপ স্বভাবগুলো হয়ে দাঁড়ায় বাধা। এক একটি রাশি অনুযায়ী দেখে নিন পরিত্যাগ করার মতো বাজে স্বভাবগুলো।
ব্যাপারটা এমন নয় যে এই রাশির জাতকরা সবসময় মনে করেন যে তাঁরাই সব ক্ষেত্রে সঠিক। তবে, সব বিষয়ে একেবারে নিজেদের মনের মতো কিছু মতামত দিয়ে থাকেন এবং তাতে স্থির হয়ে থাকেন।
তাঁর আশেপাশের ভালো বিষয়গুলোতে কখনও কোনও বদল না আসুক। কোনও কিছুতে চূড়ান্তভাবে বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত বৃষ রাশির জাতকরা কিছুতেই নিজেদের স্বভাব পরিবর্তন করতে চান না।
এঁদের কাছে এখনই যা আছে, তার মর্ম এঁরা সহজে বুঝতে পারেন না। নতুন কিছুর প্রতি এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই ভালো, কিন্তু, এখনই যা আছে, তার মর্ম বুঝতে না পেরে অবহেলা করে যাওয়াটা খারাপ।
এঁরা নিজেই অনেক সময় নিজের অনুভূতির বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং তারপর অন্যদের ওপরে রাগতে থাকেন।
যুক্তিগত কারণেই এঁদের একটু গর্ব থাকে বটে, তবে মাঝে মাঝে অহংকারে একেবারে মাটিতে পা পড়ে না।
এঁরা মনে করেন যে, এঁরা সব জানেন এবং অন্যদের সম্পর্কে তাঁরা যেটা ভাবছেন, একমাত্র সেটাই সঠিক। অন্যরা নিজের সম্পর্কে কী জানেন, সেটার কোনও মূল্যই নেই।
তুলা রাশির জাতকরা কীভাবে কাউকে আঘাত না করে তিক্ত সত্যিটা জানাতে পারবেন, সেটা ভাবতে ভাবতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এঁরা এই বিষয়টা ভুলে যান যে, সবাইকে সবসময় খুশি রাখা সম্ভব নয়।
মানুষ কতটা বিশ্বস্ত, সেটা জানার জন্য এঁরা আশেপাশের সব মানুষকে প্রতিটা মুহূর্তে পরীক্ষা করতে থাকেন। এভাবে প্রিয় মানুষটাও এঁদের ওপরে বিরক্ত হয়ে পড়েন।
এঁরা প্রিয়জনকে হতাশ করতে চান না। এঁদের মনের যা, মুখেও তাইই থাকে। কিন্তু, এঁরা আগে থেকেই কোথাও আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় পান।
২৪ ঘণ্টাই নিজের মনের কথা বলে বেরাতে হবে, এমন দোহাই কেউ দেয়নি ঠিকই। কিন্তু, এঁরা কালেভদ্রেও মুখ খোলার চেষ্টা করেন না।
কেন সবাইকে নিজের মনের কথা খুলে বলতে হবে? এই ভুল ধারণার জন্য কুম্ভ রাশির অনেক সুসম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। যেখানে মনের কথা না বললে সবই জলাঞ্জলি হয়ে যাবে, সেখানেও এঁরা চুপই থেকে যান।
ফলে, সবকিছুতেই এঁদের দুশ্চিন্তা এবং তার সাথে সাথে দেরি। শেষ সময় অবধি কোনও কাজের পরিকল্পনা ঝুলিয়ে রাখা মীন রাশির খারাপ স্বভাব।