দীপাবলির প্রাক্কালে এই উৎসবে গয়না, বাসন ইত্যাদি বহু ধরনের ধাতব জিনিস কেনেন সাধারণ মানুষ।
এই উৎসবের সঙ্গে ধনের দেবী মা লক্ষ্মীর যোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়। তাঁর সঙ্গে পূজিত হন ধনের দেবতা কুবের।
ধনতেরাস উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন মৃত্যুর দেবতা যম রাজ-ও।
রাজা হিমা-র ছেলের বয়স যখন প্রায় ১৬ বছর, তখন তিনি একটি অভিশাপ দ্বারা দুষ্ট হয়েছিলেন।
বিয়ের পর ৪ দিনের মধ্যেই সাপের কামড়ে তাঁর মৃত্যু হবে। এই কথা বিবাহের আগে থেকেই জেনে গিয়েছিলেন তাঁর হবু স্ত্রী।
সেদিন তাঁকে সারারাত জাগিয়ে রাখলেন তাঁর স্ত্রী। সারা রাত ঘরে জ্বালানো রইল আলো।
দরজার বাইরে দিকে সমস্ত সোনা-রুপোর গয়না সাজিয়ে রেখে দিলেন রাজকন্যা।
কিন্তু, যেহেতু ঘরের বাইরের দিকে সমস্ত সোনা-গয়না রাখা ছিল, সেই অলংকারের আলোয় যমরাজের চোখ ঝলসে যায়।
নববিবাহিতা স্ত্রী যুবরাজকে গল্প বলে এবং গান গেয়ে শোনাচ্ছেন। যমরাজও সেই সোনার উপর বসে গান আর গল্প শুনতে থাকেন।
তখন পরেরদিন সকালে যুবরাজকে না নিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল যমরাজকে। বিয়ের পরেও যুবরাজের প্রাণহানির অভিশাপ বাস্তবিত হল না দেখে সেই আনন্দের উদযাপনেই শুরু হল ‘ধনতেরাস’ উৎসব।