২৩ অগাস্ট, ১৯৬৮, দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। তার সুরেলা কন্ঠস্বরই সকলের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন।
তবে কন্ঠের পাশাপাশি তার ব্যক্তিত্বও সকলের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। কলেজে ৬ জনের একটি ব্যান্ড ছিল। সেই ব্যান্ডের ড্রামার এবং প্রধান গায়ক ছিলেন কেকে
বলতে গেলে ব্যান্ডের প্রাণশক্তি ছিল কেক। কলেজে পড়ার সময় ক্লাস কম করে গানের চর্চা বেশি করতেন কেকে। কলেজে গিয়ে ক্লাসে না গিয়ে প্রথমেই চলে যেতেন গ্রিনরুমে
প্রতিযোগিতা থেকে রক শো, কলেজের লনে বসে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা চলত। অন্যান্য কলেজের ফেস্টিভ্যালে গিয়েই গান গেয়ে পুরস্কার নিয়ে এসেছেন কেকে
ব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডে এমনই এক ফ্রেশ মেল কন্ঠের খোঁজ ছিল। আর ঠিক সেই সময় থেকেই নিজের মতো করে শুরু করেন কেকে।
কেকে-র গানের মাধ্যমেই বন্ধুত্ব, ভালবাসা, প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ যে কোনও মুহূর্তের সঙ্গেই আমাদের সঙ্গে কোথাও না কোথায় মিল রয়েছে। তাঁর লক্ষ্য ছিল মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া
তড়প তড়প, খুদা জানে, আঁখো মে তেরি, কেয়া মুঝে প্যায়ার হ্যায়, জরা সা, দিল ইবাদত. সচ কহে রহা হ্যায় দিওয়ানা, ইয়ারোঁ, অলভিদা- প্রতিটা গানের সঙ্গে আমাদের ইমোশন জড়িয়ে রয়েছে
কলকাতায় নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন কেকে। উপচে পড়েছিল ভিড়। কলকাতায় গান গাওয়া যে জীবনের শেষ গান হবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। কেকের মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব আজও ভারাক্রান্ত।