দিল্লীর এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মেও ছিল দু'চোখ ভরা স্বপ্ন অভিনেতা হওয়ার, অভিনয়ের পাশাপাশি খেলাধূলাতেও ছিল গভীর আগ্রহ, কীভাবে হলেন বলিউডের অভিনেতা, জানুন সেই কাহিনি।
অভিনেতার চোখে তখন জাহির আব্বাস হওয়ার স্বপ্ন, ব্যাট বলের স্বপ্ন ভুলে আজ তিনি বলিউডের জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা। নাইডু ট্রফিতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন অভিনেতা ইরফান খান
কিন্তু সুযোগ পেলেও সেই স্বপ্নপূরণ করতে পারেননি অভিনেতা। আর্থিক সঙ্কটের কারণে সেই স্বপ্নে ছেদ পড়েছিল। মাত্র ৬০০ টাকার জন্য সেই ২২ গজের স্বপ্নপূরণ আর হল না অভিনেতার
অভিনেতা হিসেবে শুধু ভারতে নয়, বিশ্বেও খ্যাতি পেয়েছিলেন ইরফান খান। প্রশংসার সঙ্গে কাজ করেছেন হলিউডে
৭ জানুয়ারি, ১৯৬৭ রাজস্থানের টঙ্ক শহরে জন্ম ইরফান খানের। অভিনেতার এক আত্মীয় যোধপুরে থিয়েটারে কাজ করতেন। তার সুবাদে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় কিশোর ইরফানের
মএ শেষ করে ১৯৮৪ সালে ভর্তি হন দিল্লির ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’য়। এখান থেকেই শুরু হয় তার অভিনয় জীবনের নতুন অধ্যায়
অবশেষে ১৯৮৮ সালে 'সালাম বম্বে' নামক চলচ্চিত্রের হাত ধরে বলিউডে পা,লাইফ ইন আ মেট্রো, পান সিং তোমার, ‘দ্য লাঞ্চবক্স, পিকু, ‘লাইফ অব পাই, হিন্দি মিডিয়ামের মতো একঝাঁক ছবি উপহার দিয়েছেন
‘মকবুল’ সিনেমায় তার অভিনয় আলাদাভাবে নজরে আসে দর্শক-সমালোচকের। সিনেমায় সাবলীল অভিনয়ে তিনি মুগ্ধতার চিরন্তন মশাল জ্বালিয়েছেন
একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়টি ফিল্মফেয়ারসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে তাঁকে 'পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত করা হয়
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলি অভিনেতা ইরফান খান। ২০২০ সালে লকডাউনের মাঝে সকলকে ফাঁকি দিয়ে ঘুম শহরে পাড়ি দেন।