মন্ত্রী শাহের FIR, বিজেপি নীরব কেন?

'সেনার পোশাকের কোনও ধর্ম বা জাত হয় না'। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, রাজনৈতিক মন্তব্যগুলি শুধু নৈতিকভাবে বিতর্কিত।  

অপারেশন সিঁদুর: কর্নেল সোফিয়া কুরেশীর উপর মন্তব্যের জন্য বিজয় শাহের বিরুদ্ধে FIR। ইস্তফার দাবি উঠলেও বিজেপি নীরব। জানুন এর পিছনের রাজনৈতিক কারণ।

কংগ্রেস, উমা ভারতী সহ অনেকেই ইস্তফার দাবি করছেন। বিজয় শাহের মন্তব্যে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন।  

মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বললেন, আদালতের নির্দেশ মেনে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী প্রতিমা বাগরি ক্ষমা চেয়ে मामলা ঠান্ডা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কি এটুকুই যথেষ্ট?

৪০ বছরের বিধায়ক, গোণ্ড आदिवासी সমাজের বড় মুখ বিজয় শাহ। তাই তাঁর ইস্তফা আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতে পারে।

সূত্রের খবর, শাহের উপর চাপ বাড়লে তিনি বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন। উপনির্বাচনে এবং আদিবাসী মোর্চায় দলের ক্ষতি হতে পারে।

বিজেপি এখন বিতর্কিত নেতাদের ইস্তফা নেয় না, যতই গুরুতর হোক কেস। টেনি মিশ্র থেকে বৃজভূষণ, সব ক্ষেত্রেই একই রীতি।

 FIR-এর পর পরবর্তী পদক্ষেপ আদালতের প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করবে। ততদিন বিজেপি তাদের মন্ত্রীকে ‘সংবেদনশীল বিষয়’ বলে সমর্থন করে যাবে।

মধ্যপ্রদেশে ২২% আদিবাসী জনসংখ্যা এবং ৪৭ টি আসন সংরক্ষিত। বিজয় শাহ গোণ্ড সমাজ থেকে আসেন। তাই তাঁর ইস্তফা বিজেপির জনভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শাহের বিরুদ্ধে কার্যকলাপ বিজেপির জন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যা হতে পারে। আদিবাসী অসন্তোষ এবং সম্ভাব্য বিদ্রোহের ভয়ে পিছিয়ে আছে দল।