১৯৯৯ সালে পাকিস্তান যখন ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের আউটপোস্টগুলি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে তখনই যুদ্ধ বাধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই যুদ্ধের নাম দেওয়া হয় 'অপারেশন বিজয়'
১৯৯৯ সালের মে মাসে বেজেছিল কার্গিল যুদ্ধের দামামা, জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল দ্রাস সেক্টরে হয়েছিল এই যুদ্ধ। সুউচ্চ পার্বত্য এলাকা ছিল যুদ্ধক্ষেত্র।
কার্গিল যুদ্ধক্ষেত্রটি ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮ হাজার ৭৮০ ফুট উঁচুতে, ১৯৯৯ সালের গ্রীষ্মে, বিশ্ব সাক্ষী হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের
পাকিস্তানি ফৌজ ও কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে ডি ফ্যাক্টো সীমান্তরেখা হিসেবে পরিচিত লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে এই যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে
পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে শুরু করা হয়েছিল অপারেশন বিজয়, মাত্র ৭ দিনের প্রস্তুতিতে দূর্দান্ত লড়াই লড়েছিল ভারতীয় বায়ু সেনাদল
ওই বছরই ২৬ জুলাই ৫৯৯ জন সাহসী সেনার মৃত্যু ও ১৫৬৩ জনের আঘাতের বিনিময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী সমস্ত জায়গা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় ও পাকিস্তানি সেনাকে পিছু হটতে বাধ্য করে
ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী প্রায় ৬০ দিন ধরে যুদ্ধ করেছিল। মে-জুলাই মাসের মধ্যে এই যুদ্ধ হয়, মর্মান্তিক এই যুদ্ধ প্রাণ কেড়েছিল ৫২৭ জন বীর জওয়ানের
ভারতীয় স্থলবাহিনীকে এই যুদ্ধে সাহায্য করেছিল বিমানবাহিনীও, সাম্প্রতিককালে কার্গিল যুদ্ধই ভারতের ইতিহাসে সবথেকে উচ্চতম যুদ্ধ
পাকিস্তান যুদ্ধের দায় কাশ্মীরি জঙ্গিদের উপর চাপিয়ে দেয়। তথ্যপ্রমাণ ও পাক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বিবৃতি থেকে স্পষ্ট হয় পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল
দীর্ঘ যুদ্ধের পর, ভারত ২৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে কার্গিলের শেষ শিখরটি দখল করে। যুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে ২৬ জুলাই পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস