শুধু কার্গিল নয় আপামর ভারতবাসীর হৃদয়ে বিক্রম বাত্রা যেন এক রূপকথার নায়ক, বিক্রম বাত্রাই ছিলেন কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম নায়ক বলেছিলেন বিক্রমেরই সহযোদ্ধা
বিক্রম বাত্রার ছোটবেলায় ১৯৮৭ সালে টিভিই ছিল না বাড়িতে, বিক্রম ও বিশাল দুজনে প্রতিবেশীর বাড়িতে যেতেন 'পরমবীর চক্র' অনুষ্ঠানটি দেখতে
ছোট্ট বিক্রম তখনই সিদ্ধান্ত নেন তিনি মাতৃভূমির সেবা করবেন, মাত্র ১৯ বছর বয়সে চন্ডিগড়ের ডিএভি কলেজে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে যোগদান করেন, তারপর ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান
বিয়ের কথা উঠতেই যিনি বান্ধবীকে ব্লেড দিয়ে বুড়ো আঙুল চিরে রক্ত দিয়ে সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছিলেন, পাহাড়ের দুর্গম রাস্তায় লড়াইয়ের পথে ও যার মুখে লেগে থাকতো সিনেমার সংলাপ
ভয়হীন চোখে হাসতে হাসতে মৃত্যুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন যিনি তাঁর শেরশাহ ওরফে বিক্রম বাত্রা, সুইসাইড মিশনে তীব্র আহত হয়েও যিনি উচ্চস্বরে বলেছিলেন 'ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর'
একজন প্রকৃত নায়কের মতো লড়েছিলেন ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা। একাই খতম করেছিলেন ১০ জন পাক সেনাকে। আর বাহিনী নিয়ে ৫১৪০ পিক পয়েন্টে উড়িয়েছিলেন তিরঙ্গা।
লড়াই শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। পাক সেনার গুলিতে সেখানেই শহিদ হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা। তারপর বাহিনীর কমান্ডার-এর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ক্যাপ্টেন রঘুনাথ সিং
আজও বীরচক্র পদকপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার ক্যাপ্টেন রঘুনাথ সিং-এর সামনে কার্গিল যুদ্ধের কথা উঠলেই, তাঁর মুখে শুধুই শোনা যায় শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা-র কথা