প্রধানমন্ত্রীর জন্য রান্না করা শুধু রাঁধুনির কাজ নয়। অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ এবং নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। শুধু স্বাদ নয়, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা এবং বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর রাঁধুনি কোনও হোটেল বা রেস্তোরাঁ থেকে আনা হয় না, বরং তাদের নির্বাচন একটি কঠোর এবং গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়।
প্রধানমন্ত্রীর রাঁধুনিদের নির্বাচন সাক্ষাৎকার বা আবেদনের মাধ্যমে হয় না। বেশিরভাগই রাষ্ট্রপতি ভবন, ভিভিআইপি ক্যাটারিং বিভাগ সরকারি অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞ কর্মীদের মধ্য থেকে নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর রাঁধুনি বা শেফদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং রাজকীয় ভোজের অভিজ্ঞতা থাকে। তাদের আচরণ, সততা এবং গোপনীয়তার রেকর্ডও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী যদি কোনও পুরানো বিশ্বস্ত রাঁধুনিকে আনতে চান, তবুও পুলিশ যাচাই, আইবি ক্লিয়ারেন্স এবং সম্পূর্ণ পটভূমি যাচাই প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর রান্নাঘরে খাবার ৫-স্টার হোটেলের মতো স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা মান অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়।
পিএমও রাঁধুনি নির্বাচনে কোনও ত্রুটি বা অবহেলা হয় না। নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা, উপকরণের মান এবং খাবারের স্বাদ পরীক্ষা সহ সবকিছুর প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়।
কোনও নির্দিষ্ট ডিগ্রি বাধ্যতামূলক নয়, তবে বেশিরভাগ রাঁধুনি হোটেল ব্যবস্থাপনা বা রান্নায় পেশাদার কোর্স করে থাকেন। অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রীর রাঁধুনিকে ভারতীয় খাবার তো জানতেই হবে, বিদেশি অতিথিদের জন্য আন্তর্জাতিক খাবারেও দক্ষতা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাজ করার অর্থ দেশের নিরাপত্তার সাথে সরাসরি জড়িত কাজ।গোপনীয়তা এবং দেশপ্রেমের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।