কোঁকড়ানো চুলের সবচেয়ে বড় অসুবিধা এতে জল সহজে ভিতরে যায় না। আবার জল ভিতরে গেলে তা সহজে শুকোতে চায় না। ফলে অনেকে জল ঢালতেও ভয় পান। চুলের রুক্ষতাএড়াতে চুলে ময়শ্চারাইজার লাগান
চুলের নিচে মাথার স্কাল্প ভালো করে পরিষ্কার রাখুন। এর জন্য সালফার ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন পরিষ্কার হবে, তেমনি স্কাল্পের ক্লিনজিং-ও ভালো হবে।
কোঁকড়ানো চুল এমনিতেই দেখতে সুন্দর হয়, তাই বেশি স্টাইল করবেন না। এতে চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে। কার্লিং আয়রনসে থেকে শুরু করে হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেটনার বেশি ব্যবহার করবেন না
যে চিরুনিতে ফাঁকা এবং লম্বা দাঁড় রয়েছে তেমন চিরুনি ব্যবহার করুন। আর চিরুনি আঁচড়ানোর আগে আগে আঙুল দিয়ে কোঁকড়ানো চুলের জটকে ছাড়িয়ে দিন।
আদ্রতায় অনেক সময় কোঁকড়ানো চুলে ফ্রিজ পরিস্থিতি তৈরি করে। এর জন্য অ্যান্টি ফ্রিজ সিরাম ওয়েল ব্যবহার করুন। এতে চুল স্মুথ থাকবে
চুল ধোয়ার পর লিভ-ইন কন্ডিশনার লাগান। এতে চুলে ময়শ্চারাইজার বাড়বে এবং চুলের কোঁকড়ানোকে নিরাপত্তা দেবে। এমন কন্ডিশনার দেখুন যাতে হাইড্রেশন এবং ফিজ কন্ট্রোল রয়েছে
কোঁকড়ানো চুলের অধিকারী হলে তা চেষ্টা করবেন না বৃষ্টির জল না লাগাতে। এতে চুলে আঁঠালো ভাব বাড়ে। তাই চুল বাঁচাতে বর্ষাকালে সঙ্গে ছাতা রাখুন
কটন পিলো কভারে চুলে একটা ঘর্ষণ এবং কর্ষণ তৈরি হয়। এতে চুলে ফ্রিজিং পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর এটা চুলের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই ঘুমানোর বালিশে সিল্ক বা সাটিনের কভার ব্যবহার করুন
অনেকেরই অভ্যাস আছে যে চুলে সারাক্ষণ আঙুল চালানো। যাদের কোঁকড়ানো চুল- তারা এমনটা করবেন না। এতেও চুলে ফ্রিজিং পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং তা ক্ষতি করে
কোঁকড়ানো চুলে ট্রিমিং করাটা অতি আবশ্যিক কাজ। আর এটা নিয়মিত করা উচিত। ৮ - ১২ সপ্তাহের মধ্যে অন্তত একবার ট্রিম করবেন। যাতে আপনার কোঁকড়ানো চুলকে ফ্রেস এবং সতেজ ও বাউন্সি বলে মনে হয়