সঠিকভাবে দান না করলে আরও বাড়বে অভাব
দান করা পুণ্যের কাজ। যারা গরিবদের জন্য করুণা রাখেন, তারা প্রায়ই দান করেন। কিন্তু চাণক্যের মতে, ভুল পদ্ধতিতে দান করা আপনার আর্থিক অবস্থার জন্য ভাল নয়।
চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে যে, অবিবেচক দান অনেক সময় নিজের জন্য বিপদ ডেকে আনে। জেনে নিন চাণক্যের ৭টি নীতি যা বলে দান করার সময় কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
লোকেরা ভাবে যত বেশি দেবেন, তত বেশি পাবেন। কিন্তু চাণক্য বলেন যারা তাদের সমস্ত সম্পত্তি দান করে, তারা সমস্যায় পড়ে। অবস্থা বিবেচনা করে দান করুন।
আপনি যদি এমন একজন ব্যক্তিকে গরু দান করেন যে তার যত্ন নিতে পারবে না, তাহলে গরুটি বেঁচে থাকবে না। তেমনি যিনি টাকা ব্যবহার করতে জানেন না, তাকে কোটি কোটি টাকা দিলেও নষ্ট হবে।
যারা সাহায্যের কথা মনে রাখে না, বরং আপনার বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের দান করা নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো। কৃতজ্ঞতাহীন ব্যক্তিকে দান করলে পুণ্য নয়, ঝামেলা হয়।
ইতিহাসে অনেক রাজা-রানী অত্যধিক দান করে সবকিছু হারিয়েছেন। রাজা হরিশ্চন্দ্রের উদাহরণ দেখুন। চাণক্য বলেন, দান এমন হওয়া উচিত যা আপনাকে দুর্বল করে না।
যারা আবেগপ্রবণ হয়ে আর্থিক অবস্থা না দেখে দান করে, তারা নিজেরাই বিপদে পড়ে। চাণক্যের মতে, দানের আগে একটু ভাবুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
কিছু মানুষ সমাজে ভাবমূর্তি তৈরির জন্য দান করে, অথচ নিজের কাছে কিছু থাকে না। এমন লোকেরা এর কোন পুণ্যফল পায় না। বরং এটি দারিদ্র্যকে আমন্ত্রণ জানায়।
চাণক্য বলেন, ধর্মস্থানে দান করলে ঈশ্বরের কৃপা লাভ হয়। যেমন সোমবার শিবকে, শনিবার শনি দেবকে এবং রবিবার দেবী মন্দিরে দান করা শুভ বলে মনে করা হয়।
দান পুণ্যের কাজ, কিন্তু আচার্য চাণক্যের মতে এটিও সমান বিবেচনার সাথে করা উচিত। কোন অযোগ্য বা অপ্রয়োজনীয় জায়গায় দান করলে ব্যক্তি নিজেই ঝামেলায় পড়তে পারেন।