ছোট ছোট বিষয়ে বাচ্চাদের চিৎকার করা বা বকা দেওয়া আপনার অভ্যাস হয়ে যায়। কিছু শেখানোর সময় বা বোঝানোর সময় যদি শিশু কিছু বুঝতে না পারে, তাহলে বকাবকি না করে তাকে শান্ত হয়ে বোঝান
শিশুদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত, এটি তাদের চিন্তা করতে এবং বুঝতে সাহায্য করে। আপনি শিশুদের কাজের স্বাধীনতা দিলে, তখন তাদের সৃজনশীলতা বিকাশ লাভ করবে, দুজনের মধ্যে বন্ধনও ভালো থাকবে।
অনেক সময় এমনও হয় যে বাচ্চাদের কিছু অভ্যাস বাবা-মায়ের পছন্দ হয় না। এমন অবস্থায় তাকে নিয়ে ভালো-মন্দ বলবেন না। সব বিষয়ে তাকে দোষারোপ করবেন না।
সন্তানকে কখনই অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। এমনও হতে পারে যে আপনার সন্তান একটি কাজে অন্যদের চেয়ে ভালো করছে না, কিন্তু এমন অনেক কাজ থাকবে যাতে সে এগিয়ে থাকবে এবং সেরা হবে।
কখনও কখনও বাচ্চাদের চাওয়া পাওয়ার আগেই তাদের ইচ্ছা পূরণ করা তাদের নষ্ট করতে পারে। সেজন্য যখনই কিছু নিয়ে আসবেন, খেয়াল রাখবেন যেন শিশুর প্রয়োজন হয়।
মোবাইল-ইন্টারনেটের যুগে শিশুরা স্মার্টফোন ও গ্যাজেট নিয়ে বেশির ভাগ সময় কাটাতে শুরু করেছে। এতে তাদের চোখ ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিশুদের মাঠে খেলতে উৎসাহিত করুন।
পিতামাতাদের উচিত তাদের সন্তানদের ধৈর্যশীল এবং শান্ত হতে শেখানো। এই গুণগুলো যদি শিশুর মধ্যে প্রথম থেকেই ধারণ করা যায়, তাহলে সে ভবিষ্যতে অনেক সফল হতে পারবে।
এখন প্রতিযোগিতার যুগ, তাই জয়ের অভ্যাস দ্রুত বাড়ছে শিশুদের মধ্যে। সেজন্য শিশুকে জয়ের জন্য উৎসাহিত করা খারাপ কিছু নয়, বরং তাকে ব্যর্থতার পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শেখান।
বাচ্চারা জোর করলে বাবা-মা তাদের অনুমতি দেন বাচ্চারা যা করতে চায়। শিশুদের ভালোবাসা দিয়ে বোঝাতে হবে। ভালো বাবা-মায়ের জন্য আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
ভালো বাবা-মায়ের জন্য অনেক অভ্যাস বাবা-মায়েরই ত্যাগ করা উচিত। শিশুদের দোষারোপ না করে, আপনার ছোট ছোট খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে তাদের লালন-পালনের দিকে মনোযোগ দেওয়াই ভালো।