নৈহাটির বড়মা-র অন্নকূট অনুষ্ঠান। রীতিমত জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হল।
নৈহাটির বড়মা জাগ্রত বলেও মনে করে ভক্তরা। ভক্তদের বিশ্বাস দেবীর মানসিক করলে মনের ইচ্ছে পুরণ হয়।
বৈশাখের প্রথম অমাবস্যার দিনে পালিত হল বড়মার অন্নকূট অনুষ্ঠান। ভক্তদের ঢল নেমেছিল।
প্রধান খেয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার দর্শনার্থী।
বুধবার অমাবস্যার দিনে দেবীকে ২ হাজার কেজি চালের ভোগ নিবেদন করা হয়। পুজোর পরে ভক্তগের সেই প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরম। তাপপ্রবাহের সতর্কতাও রয়েছে। গরম উপেক্ষা করেই ভক্তরা আসেন।
প্রবল এই গরমে ভক্তদের জন্য লেবু জলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন মন্দির তৈরি জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সাহায্য করছেন। সাহায্য আসছে বিদেশ থেকেও।
বড়োমায়ের জন্য মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। নি্র্মীয়মাণ মন্দিরের দোতলাতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।
সাধারণ ভক্তদের পাশাপাশি অন্নকূট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বরাহনগর ও বীজপুরের বিধায়কও ছিলেন।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পূন্যার্থীদের জন্য ধর্মশালা চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে। তৈরি হচ্ছে মায়ের পুজোর জন্য ২১ ফুটের মূর্তি।