সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কে থরহরিকম্প গোটা বিশ্ব
- আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বাংলাদেশেও
- চলছে 'সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং' টোটো
- 'মুখ দেখাদেখি' বন্ধ যাত্রীদের
করোনা আতঙ্কে থরহরিকম্প সকলেই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু তাই বলে তো আর জীবন থেমে থাকতে পারে না! ভয়কে উপেক্ষা করে জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে অনেকেই। যাত্রী পরিবহণের জন্য এবার 'সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং' টোটো বানিয়ে ফেললেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত 'মানব বোমা', ভারতের বিরুদ্ধে নয়া ষড়যন্ত্রে পাকিস্তান
রাজধানী ঢাকাতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১১০। নোভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পদ্মাপারেও। সংক্রমণের আশঙ্কায় কার্যত কারফিউ চলছে বাংলাদেশে। তবে সরকারিভাবে লকডাউন নয়, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে 'জাতীয় ছুটি' ঘোষণা করেছে শেখ হাসিনা সরকার। সন্ধে ছ'টা থেকে ভোর ছ'টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে দোকানপাঠ, রাস্তায় বেরোলেই গ্রেফতার করছে পুলিশ। যদি কোনও জরুরি প্রয়োজন বা কাজ থাকে, তাহলে তা সেরে ফেলতে হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই।
আরও পড়ুন: করোনার এবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু চিনে, ফরসা থেকে কালো হয়ে গেলেন ২ চিকিৎসক
আরও পড়ুন: ১৯৬৪-তে করোনাভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেন এই মহিলা বিজ্ঞানী, কেউ তখন মানেনি তাঁর দাবি
ঢাকার রিক্সা জগৎবিখ্যাত, তবে বাংলাদেশের অন্যন্য প্রান্তে কিন্তু টোটোরই রমরমা। যাঁরা রাস্তায় বেরোচ্ছেন, তাঁরা টোটোতেই যাতায়াত করছেন। কিন্তু যাত্রীদের মধ্যে 'সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং' কীভাবে বজায় রাখা সম্ভব? মাথা খাটিয়ে একটি অভিনব উপায় বের করে ফেলেছেন স্থানীয় টোটো চালক। সাধারণভাবে একটি টোটোয় চালককে বাদ দিয়ে সওয়ার হতে পারেন চারজন। এক্ষেত্রেও টোটোতে চারজন উঠতে পারবেন, তবে ঠেসাঠেসা করে বসা তো দূর অস্ত. কেউ কারও মুখ দেখতে পারবেন না! সোজা বাংলায়, টোটোয় চারটি আলাদা খোপ তৈরি করেছেন চালক। চারজন যাত্রী বসছেন চারটি আলাদা খোপে। মাঝে লম্বা পার্টিশন। সেই পার্টিশন ভেদ করে কেউ কাউকে দেখতে পাবেন না। আর চালক গাড়ির সামনে নিজের সিটেই বসছেন। অভিনব এই টোটোকে কেউ কেউ মজা করে বলছেন 'করোনা ইনভেনশন'। তবে চালকের বুদ্ধির তারিফ না করেই তো উপায় নেই! কী বলেন?