সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে খোলা নেই মদের দোকান
- বন্ধ ধাবাতে আসর জমত নেশাড়ুদের
- বেআইনি কারবারের পর্দাফাঁস পুলিশের
- বাঁকুড়ার ওন্দার ঘটনা
বাইরে থেকে দেখে বোঝায় উপায় নেই। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তাঁরা জানেন। লকডাউনের বাজারে জাতীয় সড়কের ধারে বন্ধ ধাবাতেই রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি মদের কারবার। পুলিশি অভিযানে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে দেশি ও বিদেশি মদ। ধাবার মালিক পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ায় ওন্দায়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে 'বিনেপয়সার বাজার', ব্যাগভর্তি সবজি নিয়ে ফিরলেন একশোরও বেশি মানুষ
করোনা আতঙ্কে এখন বাইরে বেরনোর উপায় নেই। কবে উঠবে লকডাউন? ঘরবন্দি জীবনে মদের চাহিদা বাড়ছে হুহু করে। কিন্তু লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানগুলি যে বন্ধ! বিদেশি মদ তো বটেই, তিন থেকে চারগুণ দামে কালোবাজারি চলছে বাংলার মদেরও! পরিস্থিতি এমনই যে, লকডাউনে বন্ধ ধাবাও এখন 'মদের ঠেক'। দেশিই বলুন কিংবা বিদেশি, কোনও মদের অভাব নেই সেখানে। প্রশাসনের চোখে ধুলো নিয়ে দিব্যি চলছে বেআইনি কারবার।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তারদের, আইএমএ-কে অনুরোধ স্বাস্থ্য দফতরের
আরও পড়ুন: করোনা রুখতে সরছে কামালগাছি বাজার, এলাকাকে 'গ্রিন জোন' বানানোর লক্ষ্য়ে কাউন্সিলর
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লক অফিস থেকে দূরত্ব মেরেকেটে ১০০ মিটার। জাতীয় সড়কের ধারে একটি ধাবা চালান দেবাশিস হালদার নামে এক ব্যবসায়ী। লকডাউনে এখন ধাবা বন্ধ, বাইরে ঝুলছে পলিথিন। কিন্তু হলে কী হবে! 'ব্যবসা' চলছিল অন্য়ভাবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধাবার রীতিমতো মদের সাম্রাজ্য তৈরি করে ফেলেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। দেশি-বিদেশি মদ বিক্রি করতেন তিনগুণেরও বেশি দামে! অভাব ছিল না ক্রেতাদেরও। সোমবার ওন্দার ওই ধাবায় হাজির হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। ক্যামেরা দেখেই পালান ধাবা মালিক ও মদ্যপায়ীরা। এদিকে ততক্ষণে পৌঁছে দিয়েছেন ওন্দা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে দেশি ও বিদেশি মদ। কিন্তু ব্লক অফিসের অদূরে কীভাবে চলছিল এই বেআইনি কারবার? ধাবার মালিক বিপুল মদ পেলেনইবা কোথায়? প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।